উত্তর সাগরে একটি মালবাহী জাহাজ ও একটি তেলের ট্যাঙ্কারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, যেখানে রাশিয়ান এক ক্যাপ্টেনের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (উল্লেখযোগ্য তারিখ) ইংল্যান্ডের উপকূলের কাছে এই দুর্ঘটনায় উভয় জাহাজে আগুন ধরে যায় এবং জেট ফুয়েলের কারণে সমুদ্র দূষণের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
খবর অনুযায়ী, পর্তুগালের পতাকাবাহী ‘সোলোং’ নামের মালবাহী জাহাজটি যুক্তরাষ্ট্রের একটি ট্যাঙ্কারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।
দুর্ঘটনার পর যুক্তরাজ্যের পুলিশ ‘সোলোং’ জাহাজের ৫৯ বছর বয়সী রাশিয়ান ক্যাপ্টেনকে গ্রেপ্তার করেছে।
তার বিরুদ্ধে গুরুতর অবহেলার কারণে মানুষ হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
তবে, এখনো তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ গঠন করা হয়নি।
এই ঘটনায় ‘সোলোং’ জাহাজের একজন নাবিক নিখোঁজ রয়েছেন এবং তাকে মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত অন্য জাহাজ দুটির ৩৭ জন নাবিককে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।
ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের মতে, তারা এখন পর্যন্ত দুর্ঘটনার পেছনে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রের প্রমাণ খুঁজে পায়নি।
তবে, ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে।
যুক্তরাজ্যের নৌ দুর্ঘটনা তদন্ত বিভাগ, যুক্তরাষ্ট্র এবং পর্তুগাল এই তদন্তে সহায়তা করছে।
জানা গেছে, ‘সোলোং’ জাহাজটি দুর্ঘটনার আগে নিরাপত্তা পরীক্ষায় বেশ কয়েকবার অনুত্তীর্ণ হয়েছিল।
গত জুলাই মাসে ডাবলিনে জাহাজের জরুরি স্টিয়ারিং ব্যবস্থা সংক্রান্ত নিরাপত্তা পরীক্ষায় ত্রুটি ধরা পড়েছিল।
এছাড়াও, জাহাজে ত্রুটিপূর্ণ এলার্ম, ত্রুটিপূর্ণ জীবন ধারণের সরঞ্জাম এবং অগ্নিনির্বাপক দরজার সমস্যা ছিল।
অক্টোবরে স্কটল্যান্ডে পরিদর্শনেও জাহাজে আরও দুটি ত্রুটি ধরা পড়েছিল।
দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ‘এমভি স্টেনা ইম্যাকুলেট’ নামের ট্যাংকারটি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর জন্য জেট ফুয়েল বহন করছিল।
এই ঘটনার ফলে সমুদ্রে জেট ফুয়েল ছড়িয়ে পড়ে এবং পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
পরিবেশবিদরা সতর্ক করে বলেছেন, তেল ও রাসায়নিক পদার্থ সামুদ্রিক জীবনের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।
বিশেষ করে তিমি, ডলফিন এবং উপকূলের পাখির জীবন এতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
বর্তমানে, ‘সোলোং’ জাহাজটি এখনও জ্বলছে এবং এটি ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস