যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের কারণে দেশটির রূপান্তরকামীদের জীবনে নেমে আসা উদ্বেগের চিত্র এখন বিশ্বজুড়ে আলোচনার বিষয়।
বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
খবর অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রশাসন রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের অধিকার খর্ব করার লক্ষ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল, যা তাদের জীবনযাত্রায় মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ট্রাম্প প্রশাসনের একটি নির্বাহী আদেশে রূপান্তরকামী শিশুদের জন্য লিঙ্গ-নিশ্চিতকরণ চিকিৎসা সেবা কঠিন করে তোলা হয়েছিল।
এর ফলে অনেক পরিবার তাদের সন্তানদের স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছিল।
এছাড়া, মহিলাদের খেলাধুলায় রূপান্তরকামী নারীদের অংশগ্রহণেও বাধা দেওয়া হয়েছিল।
শুধু তাই নয়, পেন্টাগন রূপান্তরকামী সামরিক সদস্য ও নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরি থেকে অপসারণের পরিকল্পনা করে।
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, এই ধরনের সিদ্ধান্তগুলো রূপান্তরকামীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ।
এর ফলে তাদের সমাজে টিকে থাকতে এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে সমস্যা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে, কিছু নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে আইনি চ্যালেঞ্জও জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘটনাগুলো মানবাধিকারের ধারণা নিয়ে নতুন করে ভাবতে উৎসাহিত করে।
বাংলাদেশেও রূপান্তরকামীদের অধিকার নিয়ে আলোচনা হয়, যদিও পরিস্থিতি এখনো অনেক পরিবর্তনের অপেক্ষায়।
বিভিন্ন সময়ে তাদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি এবং সরকারি নীতি নিয়ে বিতর্ক দেখা যায়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সবার জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করা একটি সুস্থ সমাজের গুরুত্বপূর্ণ দিক।
রূপান্তরকামীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া এবং তাদের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া জরুরি।
তাদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা উচিত, যাতে তারা সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন