যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিলকে আটকের পর তার সঙ্গে হওয়া আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন আইনজীবীরা। তাদের দাবি, খলিলকে কার্যত অপহরণের মতো করে নিউইয়র্ক থেকে লুইজিয়ানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা বৃহস্পতিবার ম্যানহাটনের একটি ফেডারেল আদালতে এই সংক্রান্ত একটি আপিল দাখিল করেছেন, যেখানে তারা দ্রুত খলিলের মুক্তির আবেদন জানিয়েছেন।
আবেদনে আইনজীবীরা বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন, গত শনিবার (আর্টিকেল অনুযায়ী) খলিলকে আটকের পর কিভাবে তার সঙ্গে ফেডারেল এজেন্টরা আচরণ করেছেন। আটকের পর এজেন্টরা তাদের পরিচয় দেননি। এরপর তাকে লুইজিয়ানায় নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে একটি বাঙ্কারে তাকে ঘুমাতে বাধ্য করা হয়, যেখানে কোনো বালিশ বা কম্বল ছিল না।
আদালতে দাখিল করা নথিতে জানা যায়, খলিলকে আটকের ঘটনাটি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ঘোষণার সঙ্গে সম্পর্কিত। ট্রাম্প এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘোষণা করেছিলেন, তিনি “সন্ত্রাসপন্থী, ইহুদি-বিদ্বেষী এবং আমেরিকান-বিরোধী কার্যকলাপে” জড়িত শিক্ষার্থীদের বিতাড়িত করার ব্যবস্থা নেবেন।
আবেদনে আরও বলা হয়েছে, খলিলের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাকে আটকের পর থেকে আইনজীবীদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি বুধবার আদালত এক আদেশে তাদের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি দিলেও তা কার্যত সম্ভব হয়নি।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, খলিলকে আটকের পর তিনি বারবার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাকে যখন নিউইয়র্কের একটি ফেডারেল কারাগারে রাখা হয়েছিল, তখন এক এজেন্টকে অন্য এজেন্টের কাছে বলতে শোনা যায়, “হোয়াইট হাউস আপডেটের জন্য অনুরোধ করছে”। এরপর তাকে হাতকড়া পরিয়ে শিকল দিয়ে বেঁধে নিউইয়র্ক থেকে লুইজিয়ানার একটি ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।
লুইজিয়ানায় আটকের পর খলিল তার আসন্ন সন্তানের জন্ম এবং স্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি জানান, তিনি একটি নতুন চাকরি শুরু করতে যাচ্ছিলেন, যেখানে স্বাস্থ্য বীমার সুযোগ ছিল। যা তাদের সন্তানের জন্ম এবং তার লালন-পালনের জন্য সহায়ক হতো। খলিলের আইনজীবীরা বলছেন, মাহমুদ খলিল ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে কথা বলেন এবং প্রতিবাদ করেন, যা তার সাংবিধানিক অধিকার। তিনি ডেনমার্কে একটি তথ্যচিত্রের প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস