মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাচ্ছে, যার ফলে এই অঞ্চলের মানুষজন তীব্র আবহাওয়ার সম্মুখীন হতে পারে।
শুক্রবার থেকে শুরু করে সপ্তাহান্তে এই দুর্যোগ চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এই ঝড়ের কারণে টর্নেডো, শক্তিশালী বাতাস, শিলাবৃষ্টি এবং তুষারঝড়ের মতো ঘটনাগুলো ঘটতে পারে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার বিকেলে মিসিসিপি উপত্যকায় তীব্র কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানতে পারে।
লুইসিয়ানা থেকে শুরু করে মিনেসোটা পর্যন্ত প্রায় ৯০০ মাইলের বেশি এলাকাজুড়ে এই ঝড়ের তাণ্ডব চলতে পারে।
এই সময়ে টর্নেডোর সম্ভবনাও রয়েছে।
বিশেষ করে, সাউদার্ন আইওয়া থেকে শুরু করে উত্তর-পশ্চিম টেনিসি পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলের প্রায় ৮০ লক্ষ মানুষের জন্য ৪ মাত্রার (৫ এর মধ্যে) গুরুতর ঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ডে মইন ও সেন্ট লুইসেও এই দুর্যোগের প্রভাব পড়তে পারে।
মেমফিস, কানসাস সিটি এবং জ্যাকসন শহরগুলোতে ৩ মাত্রার ঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ঝড়ে বাতাসের গতি ঘণ্টায় প্রায় ৭৫ মাইলের বেশি হতে পারে।
অন্যদিকে, ঝড়ের কারণে টেক্সাস থেকে কানসাস পর্যন্ত অঞ্চলে তীব্র দাবানল দেখা দিতে পারে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শুষ্ক আবহাওয়া ও শক্তিশালী বাতাসের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এছাড়াও, শক্তিশালী বাতাসের কারণে নিউ মেক্সিকো ও সমতলভূমি অঞ্চলে ব্যাপক ধুলোঝড় হতে পারে।
ঝড়ের উত্তরাঞ্চলে তুষারঝড়েরও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার রাত থেকে উত্তর-মধ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তুষারপাত শুরু হতে পারে।
যদিও তুষারের পরিমাণ খুব বেশি হবে না, তবে বাতাসের কারণে অনেক জায়গায় তুষার জমে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হতে পারে।
মিনিয়াপলিসের মতো কিছু শহরে একই সাথে কালবৈশাখী ও তুষারপাতের সম্ভবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদদের পরামর্শ হল, এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সময় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে এবং জরুরি অবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
বিশেষ করে, টর্নেডোর সময় আশ্রয় নেওয়ার জন্য নিরাপদ স্থান নির্বাচন করা উচিত।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং কর্তৃপক্ষের দেওয়া সতর্কতাগুলো মেনে চলতে হবে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন