কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে জাস্টিন ট্রুডোর বিদায়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পদত্যাগ করেছেন। এমন এক সময়ে তিনি সরে দাঁড়াচ্ছেন, যখন যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সম্পর্ক বেশ কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য শুল্ক আরোপের হুমকি এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত করার মতো মন্তব্যের মধ্যে ট্রুডোর এই সিদ্ধান্ত আসে। খবরটি পাওয়া গেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে।
কানাডার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রুডোর এই সময়ে সরে যাওয়াটা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কয়েক মাস ধরেই তার দল লিবারেল পার্টির অভ্যন্তরে তার পদত্যাগ নিয়ে আলোচনা চলছিল। জনমত জরিপেও তার সরকারের জনপ্রিয়তা কমে আসছিল। এছাড়া, ট্রাম্পের বাণিজ্য শুল্কের হুমকি এবং ট্রুডোর দীর্ঘদিনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগ পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রুডোর পদত্যাগের ঘোষণার পর পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন দিকে মোড় নেয়। তিনি যেন নতুন করে কানাডার মানুষের কাছে প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে ওঠেন। ট্রাম্পের আগ্রাসী মন্তব্যের বিরুদ্ধে তিনি দৃঢ়ভাবে বক্তব্য রাখেন। কানাডার মানুষের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি বাণিজ্য শুল্ক আরোপ করে, তবে তার মোকাবিলায় কানাডা ব্যবস্থা নেবে।
কানাডার রাজনীতিতে ট্রুডোর এই ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি সবসময় দেশের শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন। এমনকি, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একীভূত হওয়ার প্রস্তাবকে তিনি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রুডোর বিদায় এবং লিবারেল পার্টির নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের কারণে দলটিতে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। জনমত জরিপেও এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে। আগামী নির্বাচনে তারা ভালো ফল করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ট্রুডোর এই বিদায় ভালোভাবে স্মরণ করা হবে। সংকটকালে তিনি যেভাবে দেশের মানুষের পাশে ছিলেন, তা তাকে বিশেষ পরিচিতি দিয়েছে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা