কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের ঘোষণা এবং তাঁর স্থলাভিষিক্ত হিসেবে মার্ক কার্নির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের খবরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনার ঝড় উঠেছে।
সম্প্রতি পাওয়া খবরে জানা যায়, ট্রুডো পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এই পরিবর্তনের কারণ এখনো স্পষ্ট নয়, তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা কানাডার অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে বিশ্লেষণ করছেন।
মার্ক কার্নি একজন সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব যিনি এর আগে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের গভর্নর এবং কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তাঁর অর্থনৈতিক জ্ঞান এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, নতুন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের ফলে কানাডার অর্থনৈতিক নীতিতে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে।
এছাড়াও, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বাণিজ্য বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তেও পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
কানাডার এই রাজনৈতিক পরিবর্তনের খবর বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ, কানাডা বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী এবং বাণিজ্য অংশীদার।
দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।
কানাডা থেকে বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করা হয়, এবং বাংলাদেশের অনেক নাগরিক কানাডায় বসবাস করেন।
নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার ফলে এই সম্পর্কগুলোর ওপর কোনো প্রভাব পড়ে কিনা, সেদিকে নজর রাখা হবে।
বিশেষ করে, অভিবাসন নীতি, বাণিজ্য চুক্তি এবং উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক বিষয়গুলোতে পরিবর্তন আসে কিনা, সেটি বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, ট্রুডোর পদত্যাগের ফলে কানাডার রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মেরুকরণ সৃষ্টি হতে পারে।
তবে, মার্ক কার্নির নেতৃত্ব কেমন হবে, তা সময়ই বলবে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে কানাডার সম্পর্ক কেমন থাকে, সেদিকেও সবার দৃষ্টি থাকবে।
মোটকথা, কানাডার এই নেতৃত্ব পরিবর্তনের ঘটনা বিশ্ব রাজনীতি এবং অর্থনীতির জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়।
বাংলাদেশের সঙ্গে কানাডার সম্পর্ক বিবেচনায় নিলে, এর প্রভাব আমাদের দেশের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা