যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি একটি বিলে স্বাক্ষর করেছেন, যা দেশটির সরকারের ব্যয় নির্বাহের জন্য আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত অনুমোদন দিয়েছে। এর ফলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সম্ভাব্য আংশিক সরকারি অচলাবস্থা (shutdown) এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
এই বিলটি মূলত বর্তমান সরকারের আগের ব্যয়ের ধারাটি বজায় রেখেছে, তবে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। যেখানে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় সামান্য বৃদ্ধি করা হয়েছে, সেখানে অন্যান্য উন্নয়নমূলক খাতে বরাদ্দ কিছুটা কমানো হয়েছে।
বিলটিতে সরকারের মোট ব্যয়ের পরিমাণ ধরা হয়েছে প্রায় ১.৭ ট্রিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় বিশাল একটি অঙ্ক।
মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে এই বিলটি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্যরা বিলটির খসড়া তৈরিতে তাদের কোনো মতামত নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন।
তাদের মতে, স্বাস্থ্য, আবাসন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতে এই বিলে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করা হয়নি। এমনকি তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ট্রাম্প প্রশাসন এই বিলের মাধ্যমে ফেডারেল সরকারের অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাচারিতা দেখাতে পারে।
তবে শেষ পর্যন্ত, সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ ডেমোক্রেট সদস্য মনে করেন, সরকারি অচলাবস্থা হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। তাই তারা বিলটি পাসের পক্ষে ভোট দেন।
ডেমোক্রেট দলের সিনেট নেতা চাক শুমার জানান, অচলাবস্থা হলে ট্রাম্প প্রশাসন বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, কর্মসূচি এবং কর্মীদের অকার্যকর ঘোষণা করতে পারত, যা দেশের জন্য ক্ষতিকর হতো।
অন্যদিকে, প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি পাস হওয়া ট্রাম্প এবং স্পিকার মাইক জনসনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজয় ছিল। কারণ তারা ডেমোক্রেটদের সমর্থন ছাড়াই রিপাবলিকানদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস