মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে চলতি সপ্তাহে একটি ফোনালাপ হতে পারে। ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে একটি যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য এই ফোনালাপটি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে জানা গেছে।
খবরটি দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)। ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ জানিয়েছেন, উভয় নেতার মধ্যে আলোচনা ফলপ্রসূ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফেব্রুয়ারিতে দুই নেতার মধ্যে সর্বশেষ ফোনালাপ হয়েছিল, যেখানে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে উচ্চ-পর্যায়ের আলোচনা শুরু করতে উভয় পক্ষ রাজি হয়েছিল। উইটকফ সম্প্রতি রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং খুব শীঘ্রই একটি সমঝোতায় আসার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
উইটকফ সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি মনে করি, এই সপ্তাহে দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে খুবই ভালো এবং ইতিবাচক আলোচনা হবে।
তিনি আরও জানান, উভয় পক্ষই একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য আগ্রহী এবং ট্রাম্প প্রশাসন এই বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখতে চাইছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে এবং ইউক্রেন এই প্রস্তাবে রাজি হয়েছে। যদিও রাশিয়ার পক্ষ থেকে এখনও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি, তবে তারা নীতিগতভাবে এই প্রস্তাবের সঙ্গে একমত।
উইটকফ মনে করেন, দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে ইতিবাচক ফল আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলেছেন, রাশিয়া “সত্যিকার অর্থে শান্তির চেষ্টা করছে বলে মনে হচ্ছে না” এবং আলোচনার আগেই তারা যুদ্ধ তীব্র করছে।
তবে উইটকফ ম্যাক্রোঁর এই মন্তব্যের সঙ্গে একমত নন। তিনি বলেন, যারা পরিস্থিতি সরাসরি দেখেনি, তাদের এমন মূল্যায়ন করাটা দুঃখজনক।
আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে এই ফোনালাপ ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।
কারণ, এর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি আলোচনা এবং সমঝোতার পথ খুলতে পারে। তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)