শেয়ার বাজারে সোমবার দিনটি ছিল বেশ উজ্জ্বল। বিশেষ করে এশিয়া এবং ওয়াল স্ট্রিটের বাজারে ছিল দারুণ তেজিভাব। চীনের শক্তিশালী অর্থনৈতিক তথ্য প্রকাশের ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে আস্থা ফিরে এসেছে, যার প্রভাব পড়েছে শেয়ার বাজারে।
হংকংয়ের হ্যাং সেং সূচক ১.৩ শতাংশ বেড়ে ২৪,২৭৬.৬৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। চীনের সাংহাই কম্পোজিট সূচকও ০.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩,৪২৯.৩০ পয়েন্টে পৌঁছেছে।
চীনের শিল্প উৎপাদন গত বছরের প্রথম দুই মাসে প্রায় ৬ শতাংশ বেড়েছে, একই সময়ে খুচরা বিক্রিও বেড়েছে ৪ শতাংশ। তবে দেশটির আবাসন খাতে কিছুটা দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে, বাড়িঘরের দাম কমছে এবং রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ প্রায় ১০ শতাংশ কমেছে।
জাপানের নিক্কেই ২২৫ সূচক ১.৩ শতাংশ বেড়ে ৩৭,৫৩৯.৩৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কোস্পি সূচক ১.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২,৬0৮.৬৮ পয়েন্টে উঠেছে। অস্ট্রেলিয়ার এসএন্ডপি/এএসএক্স ২০০ সূচক ০.৬ শতাংশ বেড়ে ৭,৮৩৮.২০ পয়েন্টে এবং তাইওয়ানের তাইক্স সূচক ০.৯ শতাংশ বেড়েছে। তবে ব্যাংককের সেট সূচক ০.৭ শতাংশ কমেছে।
শুক্রবার ওয়াল স্ট্রিটের বাজার বেশ কয়েক মাস পর ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। এসএন্ডপি ৫০০ সূচক ২.১ শতাংশ বেড়ে ৫,৬৩৮.৯৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডাউ জোনস ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ ১.৭ শতাংশ বেড়ে ৪১,৪৮৮.১৯ পয়েন্টে এবং নাসডাক কম্পোজিট ২.৬ শতাংশ বেড়ে ১৭,৭৫৪.০৯ পয়েন্টে পৌঁছেছে।
শেয়ার বাজারের এই উত্থানে প্রযুক্তি খাতের কোম্পানিগুলোর পাশাপাশি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) খাতের কোম্পানিগুলোর অবদান ছিল উল্লেখযোগ্য। বিশেষ করে, বিউটি প্রোডাক্ট বিক্রেতা আলটা বিউটির শেয়ারের দাম ১৩.৭ শতাংশ বেড়েছে। এনভিডিয়া ৫.৩ শতাংশ এবং অ্যাপলের শেয়ার ১.৮ শতাংশ বেড়েছে।
তবে, এখনো পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নীতি নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি। বিশেষ করে, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ এবং শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগ রয়েছে।
এদিকে, অপরিশোধিত তেলের দাম সামান্য বেড়েছে। সোমবার সকালে, মার্কিন বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৬৭.৬৬ ডলার, যা আগের দিনের তুলনায় ৪৮ সেন্ট বেশি। আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ছিল ৭০.০৭ ডলার, যা ৪৯ সেন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে।
ডলারের বিপরীতে জাপানি ইয়েনের দাম বেড়েছে, তবে ইউরোর দর সামান্য কমেছে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস