1. [email protected] : adminb :
  2. [email protected] : Babu : Nurul Huda Babu
March 18, 2025 1:33 AM
সর্বশেষ সংবাদ:
হোয়াইট হাউসে অভিবাসন নিয়ে বিতর্ক, সমালোচনার ঝড় তুললেন কনর ম্যাকগ্রেগর! রাগবিতে নতুন চমক! খেলা দেখতে আলাদা গ্যালারি? ইউনাইটেডের টিকিট-এর দামে আগুন! ভক্তদের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙার শঙ্কা? আতঙ্কের নাম ত্রেন দে আরাগুয়া: যুক্তরাষ্ট্রেও কি সক্রিয় এই গ্যাং? হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর: আতঙ্কিত ভারতীয়-আমেরিকান, নিন্দায় মুখর বিশ্ব! ধর্মীয় উৎসবে মেতে উঠলো ইসরায়েলের মানুষেরা, দেখুন পুরিমের আকর্ষণীয় ছবি! পাঠাগারে কী হয়? খ্রিস্টান বিজ্ঞান পাঠাগারের অজানা জগৎ! হুঁশিয়ার! ইরানকে দায়ী করে হুতিদের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপের হুমকি ট্রাম্পের শিশুদের হত্যা মামলায় লুসি লেটবির চাঞ্চল্যকর পদক্ষেপ, তদন্ত বন্ধের দাবি! আতঙ্ক! ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কায় ইয়েল অধ্যাপকদের সতর্কতা

ক্যারিবিয়ান দ্বীপের গোপন আকর্ষণ! ডুব দিতেই মন চাইবে!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Monday, March 17, 2025,

একটি ডুবন্ত জগৎ: বোনায়ারের আকর্ষণ

সমুদ্রের গভীরে লুকিয়ে আছে এক অন্য জগৎ।

নীল জলের নিচে নানা রঙের মাছ, প্রবাল আর রহস্যে ঘেরা জগৎ সবসময়ই মানুষের কাছে এক অপার বিস্ময়। যারা সমুদ্র ভালোবাসেন, তাদের জন্য ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের একটি বিশেষ স্থান হলো বোনায়ার (Bonaire)।

নেদারল্যান্ডসের অংশ এই দ্বীপটি স্কুবা ডাইভিং-এর জন্য সারা বিশ্বে সুপরিচিত।

বোনারে ছোট একটি দ্বীপ, যার একদিকে রয়েছে অগভীর সমুদ্র আর অন্য দিকে গভীর খাদ।

এর চারপাশে বিস্তৃত প্রবাল প্রাচীর (coral reef) এটিকে করে তুলেছে এক দারুণ ডাইভিং স্পট।

দ্বীপটির কাছে রয়েছে প্রায় ৮৭টি অসাধারণ ডাইভিং সাইট।

বোনায়ার ন্যাশনাল মেরিন পার্ক (Bonaire National Marine Park) ১৯৭৯ সাল থেকে এখানকার সমুদ্র এবং এর জীববৈচিত্র্য রক্ষার দায়িত্বে রয়েছে।

এখানে ডাইভিং করাটা খুবই সহজ।

বোনায়ারের পশ্চিম দিকে সাধারণত হালকা বাতাস থাকে, যা জলের উপরিভাগ শান্ত রাখে।

এই কারণে এখানে ডাইভিং করা অনেক বেশি আরামদায়ক।

এখানকার অনেক ডাইভিং সাইটগুলো একেবারে সমুদ্রের কিনারে, যে কারণে নৌকার বদলে ট্রাক ব্যবহার করে সহজেই সেখানে যাওয়া যায়।

অনেক জায়গায় তো সমুদ্রের পাড়ে হলুদ পাথর বসিয়ে ডাইভিং স্পট চিহ্নিত করা হয়।

বোনায়ারের সবচেয়ে বিখ্যাত ডাইভিং স্থানগুলোর মধ্যে একটি হলো সল্ট পিয়ার (Salt Pier)।

এটি আসলে সমুদ্রের লবণ তৈরির একটি বিশাল কাঠামো।

এই পিয়ারের স্তম্ভগুলো পানির নিচে এক ধরনের কৃত্রিম প্রাচীর তৈরি করেছে, যা দেখতে অনেকটা অন্য গ্রহের মতো।

এখানে ডুব দিলে মনে হয় যেন কল্পবিজ্ঞানের জগতে প্রবেশ করেছেন।

নানা ধরনের মাছ, যেমন – ট্রাম্পেটফিশ (Trumpetfish), ট্রিগারফিশ (Triggerfish) আর বিশাল আকারের তারাফিশের (tarpons) দেখা মেলে এখানে।

এমনকি সবুজ রঙের ঈল মাছও (green moray eels) ঘুরে বেড়ায়।

যারা রাতের বেলা ডাইভ করতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য “সামথিং স্পেশাল” (Something Special) একটি চমৎকার জায়গা।

এখানকার বালুকাময় সমুদ্রতলে মাছেরা খেলা করে বেড়ায়।

এছাড়াও “বন বিনি না কাস” (Bon Bini Na Kas) নামের একটি স্থানে বিভিন্ন ধরনের রঙিন মাছ, যেমন – ক্রেওল রেস (Creole wrasse), নীল ট্যাং (blue tangs) দেখা যায়।

এখানে আছে কোরাল ও স্পঞ্জের এক অপূর্ব জগৎ।

এছাড়াও, হিলমা হুকর (Hilma Hooker) নামের একটি বিশাল জাহাজের ধ্বংসাবশেষও এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, যা ১৯৮৪ সালে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

এটি এখন নানান ধরনের সামুদ্রিক জীবের আবাসস্থল।

বাংলাদেশে সাধারণত স্কুবা ডাইভিং খুব একটা পরিচিত নয়, তবে বর্তমানে অনেক মানুষ সমুদ্র ভালোবাসেন এবং নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য আগ্রহী।

বোনায়ার তাদের জন্য একটি অসাধারণ গন্তব্য হতে পারে।

যারা সমুদ্রের গভীরে ডুব দিতে চান এবং প্রকৃতির মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করতে চান, তাদের জন্য বোনায়ার হতে পারে একটি আদর্শ স্থান।

এটি একইসঙ্গে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র এবং এখানকার জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লিজার

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT