মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিতর্কিত একটি ঘটনা ঘটেছে, যেখানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আমলে ভেনেজুয়েলার একটি গ্যাংয়ের সদস্যদের বিতাড়ন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার একটি আইনের আশ্রয় নিয়ে এই বিতাড়ন প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছিল, কিন্তু আদালতের হস্তক্ষেপে তা বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়।
ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটি সময়ানুক্রমিক চিত্র এখানে তুলে ধরা হলো।
ঘটনার সূত্রপাত হয় ১৫ই মার্চ। ঐদিন, মার্কিন জেলা জজ জেমস বোয়াজবার্গ একটি লিখিত আদেশে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি পাঁচজন ব্যক্তির বিতাড়ন প্রক্রিয়া স্থগিত করার নির্দেশ দেন। এই পাঁচজন ব্যক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘এলাইন এনিমিজ অ্যাক্ট’-এর ব্যবহারের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন।
এরপর, শুনানির সময় বিচারক মৌখিকভাবে বিচার বিভাগের আইনজীবীদেরকে নির্দেশ দেন, বিতাড়ন করার জন্য প্রস্তুত করা উড়োজাহাজগুলো হয় যেন ফিরিয়ে আনা হয়, অথবা আকাশে থাকা উড়োজাহাজগুলোকেও যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠানো হয়।
তবে, ততক্ষণে বেশ কয়েকটি উড়োজাহাজ বিতাড়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে রওনা হয়ে যায়। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ডেটা অনুযায়ী জানা যায়, টেক্সাসের হারলিঙ্গেন থেকে GlobalX ফ্লাইট ৬১৪৩ ও ৬১৪৫ নামের দুটি উড়োজাহাজ কয়েকজন ব্যক্তিকে নিয়ে এল সালভাদরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
এর কিছুক্ষণ পরেই একই স্থান থেকে GlobalX ফ্লাইট ৬১২২-ও যাত্রা শুরু করে।
বিচারকের নির্দেশনার পরেও, বিতাড়ন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে। বোয়াজবার্গের লিখিত আদেশটি প্রকাশিত হওয়ার আগে, GlobalX ফ্লাইট ৬১৪৩ হন্ডুরাসের কোমায়াগুয়াতে অবতরণ করে।
এছাড়াও, GlobalX ফ্লাইট ৬১৪৫ তেগুসিগালপাতে এবং GlobalX ফ্লাইট ৬১২২ এল সালভাদরের সান সালভাদরে পৌঁছে যায়।
বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আদালতের নির্দেশনার আগেই কিছু গ্যাং সদস্যকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়ন করা হয়েছে।
তবে, বিতাড়ন প্রক্রিয়া বন্ধ করার জন্য বিচারকের আদেশ কতটা কার্যকর হবে, তা এখন দেখার বিষয়।
তথ্যসূত্র: সিএনএন