যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের নিরাপত্তা সেবা তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দিয়েছেন। সোমবার তিনি এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, বিদায় নেওয়ার আগে ট্রাম্প বাইডেনের ছেলে-মেয়েদের নিরাপত্তা বিষয়ক এই সুবিধাটি কয়েক মাসের জন্য বাড়িয়েছিলেন। কিন্তু ক্ষমতা হস্তান্তরের কিছুদিনের মধ্যেই তিনি তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তের কারণ এখনো স্পষ্ট নয়।
ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। তিনি আরও বলেন, “আমি জানতে পেরেছি যে, হান্টার বাইডেন দীর্ঘ সময় ধরে সিক্রেট সার্ভিসের নিরাপত্তা সুবিধা গ্রহণ করছেন, যার খরচ বহন করছে মার্কিন করদাতারা। অবিলম্বে এই নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হবে।”
একইসঙ্গে, অ্যাশলি বাইডেন, যিনি ১৩ জন নিরাপত্তা কর্মীর সুবিধা পাচ্ছিলেন, তারও তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং তাদের স্ত্রীরা আজীবন সিক্রেট সার্ভিস থেকে নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। তবে তাদের পরিবারের ১৬ বছরের বেশি বয়সী সদস্যদের ক্ষেত্রে এই সুবিধা সাধারণত প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ হয়ে যায়।
এর আগে, ট্রাম্প ক্ষমতা ছাড়ার কয়েক দিনের মধ্যে তার প্রশাসনের সাবেক কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নিরাপত্তা সেবাও বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এদের মধ্যে ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও, প্রাক্তন শীর্ষ উপদেষ্টা ব্রায়ান হুক এবং সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন।
বাইডেন প্রশাসন সতর্ক করে দিয়েছিল যে, ইরানের পক্ষ থেকে তাদের ওপর হামলার ঝুঁকি রয়েছে।
ট্রাম্পের এই নিরাপত্তা বাতিলের সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অনেকে মনে করছেন, এটি প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হতে পারে। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এর মাধ্যমে ট্রাম্প বাইডেন প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইছেন।
তবে, বাইডেন প্রশাসন বা হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান