যুক্তরাজ্যের একটি বৃদ্ধাশ্রম, সেখানকার এক মৃতের পরিবারের কাছে প্রায় ১০,০০০ পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় আনুমানিক ১৩ লক্ষ টাকার বেশি) পরিশোধ করতে গড়িমসি করছে। মৃতের স্ত্রী জে.এইচ-কে এই টাকা পরিশোধ করার কথা, যিনি তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পর এই অর্থ পাওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
জানা যায়, জে.এইচ-এর স্বামী গত বছর জুন মাসে মারা যান। তাঁর বৃদ্ধাশ্রমে থাকার খরচ ছিল প্রতি মাসে ৫,০০০ পাউন্ড। প্রথমে জে.এইচ-ই এই খরচ বহন করতেন।
কিন্তু তাঁর সঞ্চয় সরকারের নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করার ফলে, স্থানীয় কাউন্সিল (স্থানীয় সরকার) তাঁর স্বামীর চিকিৎসা খরচ বহন করতে রাজি হয়। এরপর কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ, জে.এইচ-এর দেওয়া আগের পাঁচ মাসের খরচ পরিশোধ করার জন্য বৃদ্ধাশ্রমটিকে প্রায় ২৩,০০০ পাউন্ড দেয়।
বৃদ্ধাশ্রমটি প্রথমে ১৩,০০০ পাউন্ড পরিশোধ করে এবং এরপর থেকেই বাকি ১০,০০০ পাউন্ড পরিশোধে নানা টালবাহানা শুরু করে। জে.এইচ যখনই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন, তখনই তারা আশ্বাস দিতো যে খুব শীঘ্রই এই টাকা পরিশোধ করা হবে।
কিন্তু বাস্তবে, মাসের পর মাস কেটে গেলেও তিনি কোনো টাকা পাননি। বৃদ্ধাশ্রমটি ‘জনসন কেয়ার গ্রুপ’-এর অধীনে ‘লেস্টারশায়ার কাউন্টি কেয়ার’ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের অংশ।
তাদের এই ধরনের দায়িত্বে অবহেলার কারণে জে.এইচ-এর মতো অনেক পরিবার আর্থিক ও মানসিক কষ্টের শিকার হচ্ছেন। ক্রিসমাসের আগেই বকেয়া পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও, সেই সময়সীমা পেরিয়ে যায়।
প্রতিষ্ঠানটি তাদের বিলম্বের কারণ হিসেবে ‘বাজে কাজের পাহাড়’ (significant backlog) -কে দায়ী করে।
বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে স্থানীয় কাউন্সিল জানিয়েছে, তারা জনসনের সঙ্গে মিলে দ্রুত এই সমস্যার সমাধানে কাজ করবে।
অবশেষে, ঘটনার আট মাস পর, অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির শেষে জে.এইচ-কে তাঁর প্রাপ্য ১০,০০০ পাউন্ড পরিশোধ করা হয়।
তথ্য সূত্র: The Guardian