টেনিস বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন তরুণী মীরা আন্দ্রিয়েভা। সম্প্রতি, তিনি ইন্ডিয়ান ওয়েলস টুর্নামেন্টে খেতাব জিতেছেন। আর এই জয়ের পেছনে রয়েছে বাস্কেটবল কিংবদন্তি লেব্রন জেমসের অনুপ্রেরণা।
মাত্র ১৭ বছর বয়সী আন্দ্রিয়েভা বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় আরিনা সাবালেঙ্কাকে পরাজিত করে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন।
আন্দ্রিয়েভার এই জয়ের গল্পটা বেশ চমকপ্রদ। খেলার শুরুতে সাবালেঙ্কার কাছে ৬-২ সেটে হেরে যান তিনি। কিন্তু এরপরই যেন ঘুরে দাঁড়ানোর পণ করেন।
খেলা শেষে আন্দ্রিয়েভা জানান, লেব্রন জেমসের একটি পুরনো সাক্ষাৎকার থেকে তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। জেমস বলেছিলেন, “যদি তুমি শতভাগ নাও খেলতে পারো অথবা শারীরিকভাবে দুর্বল অনুভব করো, তবুও মানসিক দিক থেকে শতভাগ থাকার চেষ্টা করো।”
আন্দ্রিয়েভা আরও বলেন, “লেব্রনের এই কথাগুলো আমাকে চ্যাম্পিয়ন হতে সাহায্য করেছে। শুরুতে এটা কাজে না এলেও, শেষ পর্যন্ত আমি আমার সেরাটা দিতে পেরেছি।”
লেব্রন জেমস নিজেও আন্দ্রিয়েভার এই জয়ে আনন্দিত। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনন্দন জানিয়ে লিখেছেন, “শুভেচ্ছা! আমি সাহায্য করতে পেরে খুশি, তবে সত্যি বলতে, এই জয় তোমার কঠোর পরিশ্রম, চেষ্টা ও নিষ্ঠার ফল।
এগিয়ে যাও! শ্রেষ্ঠত্বের জন্য চেষ্টা করো।” জেমস একজন কিংবদন্তি বাস্কেটবল খেলোয়াড়। তিনি চারবার এনবিএ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন, চারবার মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার (এমভিপি) নির্বাচিত হয়েছেন এবং এনবিএ-এর ইতিহাসে সর্বোচ্চ স্কোরার তিনি।
টেনিস এবং বাস্কেটবল উভয় খেলাতেই খেলোয়াড়দের মানসিক দৃঢ়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন খেলোয়াড়ের শারীরিক দক্ষতার পাশাপাশি মানসিক শক্তি তাকে সাফল্যের দিকে নিয়ে যায়।
মীরা আন্দ্রিয়েভার এই জয় প্রমাণ করে, কঠোর পরিশ্রম, একাগ্রতা এবং মানসিক দৃঢ়তা থাকলে যেকোনো বাধা জয় করা সম্ভব।
খেলাধুলার জগতে এমন অনুপ্রেরণামূলক ঘটনা সবসময়ই দর্শকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মীরা আন্দ্রিয়েভার এই জয় শুধু তার নিজের জন্য নয়, বরং তরুণ প্রজন্মের খেলোয়াড়দের জন্যও এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
বাংলাদেশেও বর্তমানে টেনিস এবং বাস্কেটবল খেলার জনপ্রিয়তা বাড়ছে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে। এই ধরনের সাফল্যের গল্প তাদের আরও বেশি উৎসাহিত করবে।
তথ্য সূত্র: CNN