খ্যাতিমান শিল্পী ব্রায়ান ফেরি, যিনি একসময় জনপ্রিয় ব্যান্ড রক্সি মিউজিকের কণ্ঠশিল্পী ছিলেন, তাঁর নতুন অ্যালবাম নিয়ে ফিরে এসেছেন। এবার তাঁর সঙ্গে রয়েছেন শিল্পী ও লেখিকা অ্যামেলিয়া ব্যার্যাট।
এই অ্যালবামের নাম ‘লুজ টক’। ‘লুজ টক’ অ্যালবামটি মূলত ব্রায়ান ফেরির পুরনো কিছু গানের ডেমো থেকে তৈরি করা হয়েছে।
সত্তরের দশকের শুরুর দিকের কিছু গান নতুন করে সাজিয়ে, আধুনিক বাদ্যযন্ত্রের ছোঁয়ায় অ্যালবামটি তৈরি হয়েছে। অ্যামেলিয়া ব্যার্যাট তাঁর লেখনি এবং কণ্ঠের মাধ্যমে অ্যালবামটিকে অন্য মাত্রা দিয়েছেন।
যেন পুরোনো দিনের সুরের সঙ্গে আধুনিক কথার এক অদ্ভুত যুগলবন্দী। ব্রায়ান ফেরি তাঁর সঙ্গীত জীবনে অনেক নিরীক্ষা করেছেন।
এর আগে তিনি যেমন পুরনো দিনের জ্যাজ ঘরানার আদলে গান তৈরি করেছেন, তেমনই এবার পুরনো ডেমো গানের সঙ্গে নতুনত্বের মিশেল ঘটিয়েছেন। ‘লুজ টক’-এর গানগুলোতে অ্যামেলিয়ার শীতল, অনুভূতিহীন কণ্ঠস্বর শ্রোতাদের মধ্যে অন্যরকম অনুভূতি তৈরি করে।
অ্যালবামে শোনা যায়, পুরনো দিনের কয়েকটি ডেমো গানের অংশ, যা শ্রোতাদের কৌতূহল যোগায়। উদাহরণস্বরূপ, ‘বিগ থিংস’ এবং ‘ল্যান্ডস্কেপ’ গানের পিয়ানো ও ইলেকট্রিক পিয়ানোর শব্দগুলো সত্তরের দশকের কথা মনে করিয়ে দেয়।
আবার, ‘স্ট্যান্ড নিয়ার মি’ গানের অদ্ভুত মিশ্রণ অথবা ‘পিকচার্স অন এ ওয়াল’-এর আবহ তৈরি করে। যদিও অ্যালবামটির কিছু অংশে ব্রায়ান ফেরির কণ্ঠ কিছুটা নিষ্প্রভ মনে হয়, তবুও ‘লুজ টক’-এর কিছু মুহূর্ত সত্যিই মন ছুঁয়ে যায়।
বিশেষ করে, পুরনো ডেমো থেকে নেওয়া কণ্ঠগুলি, যা হয়তো শব্দহীন, অথবা লো-ফাই শব্দের কারণে অস্পষ্ট, তা এক ধরনের স্মৃতিকাতরতা তৈরি করে। অ্যামেলিয়ার লেখাগুলোতেও রয়েছে গভীরতা, যা শ্রোতাদের মনে এক ধরনের ভীতিকর অনুভূতির জন্ম দেয়।
সব মিলিয়ে, ‘লুজ টক’ অ্যালবামটি ব্রায়ান ফেরির পুরনো দিনের কাজের প্রতিচ্ছবি এবং একইসঙ্গে নতুনত্বের এক মিশ্রণ। অ্যামেলিয়া ব্যার্যাটের উপস্থিতি অ্যালবামটিকে দিয়েছে ভিন্নতা, যা শ্রোতাদের কাছে বিশেষভাবে আকর্ষণীয় হতে পারে।
অ্যালবামটি ২৮শে মার্চ মুক্তি পেয়েছে। তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান