গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের (DRC) পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম২৩ কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি খনি শহর, ওয়ালিকালে দখল করে নিয়েছে। রুয়ান্ডা ও ডিআরসি’র প্রেসিডেন্টদের যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরও বিদ্রোহীদের এই আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে।
ওয়ালিকালে, উত্তর কিভু প্রদেশের একটি শহর। জানুয়ারিতে এম২৩ বিদ্রোহীদের অভিযান শুরুর পর এটি তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিজয়। শহরটিতে টিন ও সোনার বিশাল ভাণ্ডার রয়েছে।
টিন ধাতু খাদ্য প্যাকেজিং ও ইলেকট্রনিক্সসহ বিভিন্ন শিল্পে ব্যবহৃত হয়। ওয়ালিকালে দখলের ফলে বিদ্রোহীরা দেশটির পূর্বাঞ্চলে চারটি প্রদেশের সংযোগকারী একটি রাস্তাও নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
এর মাধ্যমে তারা দেশের চতুর্থ বৃহত্তম শহর কিসাঙ্গানি থেকে ২৫০ মাইলের মধ্যে চলে এসেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বুধবার (আনুমানিক) শহরটির কাছে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। এম২৩ বিদ্রোহীরা সেনাবাহিনীর একটি অবস্থান দখল করার পর সৈন্যদের সঙ্গে তাদের লড়াই হয়।
পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, যেন স্থানীয় বাসিন্দাদের ত্যাগ স্বীকার করতে হচ্ছে।
জাতিসংঘের তথ্য মতে, ডিআরসি’র পূর্বাঞ্চলে দশকের পর দশক ধরে চলা এই সংঘাতের কারণে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং কয়েক লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
এম২৩ বিদ্রোহী গোষ্ঠী রুয়ান্ডার সমর্থনপুষ্ট। তারা ডিআরসি’র খনিজ সমৃদ্ধ পূর্বাঞ্চলে নিজেদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে।
এম২৩ দাবি করে, তারা কঙ্গোর সংখ্যালঘু ‘টিউটসি’ সম্প্রদায়ের স্বার্থ রক্ষা করতে চায়। ডিআরসি, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশগুলো বলছে, রুয়ান্ডা এই অঞ্চলের খনিজ সম্পদ লুটের উদ্দেশ্যে এম২৩ কে সমর্থন করছে।
ওয়ালিকালে পতনের একদিন আগে, ডিআরসি’র প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স তশিসেকেদি এবং রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামে কাতারে বৈঠক করেন এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান।
এর আগে, ডিআরসি সরকার বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়। কিন্তু এম২৩ তাদের নেতাদের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার কারণে সেই আলোচনা থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান