ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নীতির বিরুদ্ধে দেশটির বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। গণতন্ত্রের উপর আঘাত এবং গাজায় চলমান সংঘাতের কারণে তারা ফুঁসে উঠেছেন।
বিক্ষোভকারীরা নেতানিয়াহু সরকারের পদত্যাগও দাবি করছেন।
খবর অনুযায়ী, বিক্ষোভের মূল কারণ হলো নেতানিয়াহুর সরকার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান রোনেন বারকে বরখাস্ত করার চেষ্টা করছে।
এর পাশাপাশি গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে বিমান হামলা চালানো এবং ফিলিস্তিনিদের উপর নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যুদ্ধকে রাজনৈতিক ফায়দার জন্য ব্যবহার করার অভিযোগ এনেছেন। তাদের মতে, হামাসের হাতে বন্দী ৫৯ জন জিম্মির মুক্তির বিষয়ে সরকার যথেষ্ট মনোযোগ দিচ্ছে না।
জেরুজালেম ও তেল আবিবে বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে।
অনেক বিক্ষোভকারী ইসরায়েলের পতাকা হাতে নিয়ে নেতানিয়াহুর বাসভবনের সামনে সমবেত হন। তারা গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বিক্ষোভকারীরা নেতানিয়াহুর পদক্ষেপকে ইসরায়েলের গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হিসেবে দেখছেন। তাদের মতে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে এবং গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের অপসারণের চেষ্টা চলছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নেতানিয়াহুর সরকার দুর্বল হয়ে পড়েছে। জনগণের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা কমছে।
এমনকি তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে। যদিও নেতানিয়াহু তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নেতানিয়াহু ক্ষমতা ধরে রাখতে এবং নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
তবে এর ফলে ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, তারা গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করে জিম্মিদের দ্রুত মুক্তি চান।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের হামলায় প্রায় ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছিল।
এই ঘটনার জন্য নেতানিয়াহুকে অনেকে দায়ী করেন।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান