**ক্রিস্টিন কোভেন্ট্রি: আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রথম নারী সভাপতি ও আফ্রিকার মুখ**
খেলাধুলা জগতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জিম্বাবুয়ের ক্রীড়ামন্ত্রী ও সাবেক অলিম্পিক সাঁতারু ক্রিস্টিন কোভেন্ট্রি। এই প্রথম কোনো নারী এবং কোনো আফ্রিকান এই গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হলেন।
ক্রীড়াক্ষেত্রে এটি একটি যুগান্তকারী ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
গত কয়েক দশক ধরে আইওসি-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়নি। গ্রিসের কোস্টা নাভারিনোতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সাত প্রার্থীর মধ্যে কোভেন্ট্রি প্রথম রাউন্ডেই জয়লাভ করেন।
নির্বাচনে তিনি ৯৭ জন সদস্যের মধ্যে ৪৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন হুয়ান আন্তোনিও সামারাঞ্চ, যিনি ২৮ ভোট পান।
৪১ বছর বয়সী কোভেন্ট্রি ২০৩৩ সাল পর্যন্ত আট বছরের জন্য এই পদে দায়িত্ব পালন করবেন। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট থমাস বাখ দীর্ঘদিন ধরেই কোভেন্ট্রিকে তার উত্তরসূরি হিসেবে সমর্থন করে আসছিলেন।
আগামী ২৩শে জুন অলিম্পিক দিবসে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বাখের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
সভাপতি হিসেবে কোভেন্ট্রির সামনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক গেমস সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা।
এছাড়াও, ২০৩৬ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমসের আয়োজক নির্বাচন করাও তার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ধারণা করা হচ্ছে, ভারত অথবা মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ এই গেমস আয়োজনের সুযোগ পেতে পারে।
ক্রিস্টিন কোভেন্ট্রির ক্রীড়া জীবনের দিকে তাকালে দেখা যায়, তিনি ২০০৪ সালের এথেন্স অলিম্পিক এবং ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিকে ২০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে স্বর্ণপদক জয় করেন। ২০১৩ সালে তিনি আইওসিতে যোগ দেন।
তিনি খেলোয়াড় হিসেবেও বেশ জনপ্রিয় ছিলেন।
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের একটি প্রভাবশালী সংস্থা। এর সভাপতি হিসেবে কোভেন্ট্রির এই জয় বিশ্ব ক্রীড়া জগতে নারী ও আফ্রিকার প্রতিনিধিত্ব আরও বাড়াবে।
একইসাথে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর ক্রীড়া উন্নয়নেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা।