আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন জিম্বাবুয়ের সাবেক অলিম্পিক সাঁতারু ক্রিস্টিন কোভেন্ট্রি। এই পদে তিনিই প্রথম নারী, সেইসঙ্গে প্রথম আফ্রিকানও।
এক অপ্রত্যাশিত ফলাফলে ব্রিটেনের সেবাস্টিয়ান কোয়ের মতো প্রভাবশালী প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে তিনি এই জয় ছিনিয়ে আনেন।
আইওসির ৯৭ জন সদস্যের মধ্যে কোভেন্ট্রি পেয়েছেন ৪৯ ভোট। অন্যদিকে লর্ড কোয়ে মাত্র ৮ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থান অর্জন করেন।
দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন স্প্যানিয়ার্ড জুয়ান আন্তোনিও সামারাঞ্চ, যিনি ২৮ ভোট পান।
কোভেন্ট্রির এই জয় ক্রীড়া বিশ্বে নারী নেতৃত্বের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
জিম্বাবুয়ের ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে কোভেন্ট্রির দায়িত্ব পালন এবং তাঁর দেশের উপর ব্রিটেনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় কারো কারো মধ্যে এই নির্বাচন নিয়ে কিছুটা বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
বিজয়ী হওয়ার পর কোভেন্ট্রি বলেন, “ছোটবেলায় জিম্বাবুয়ের যে মেয়েটি সাঁতার শুরু করেছিল, সে কোনোদিনও এমন মুহূর্তের স্বপ্ন দেখেনি।
প্রথম নারী এবং প্রথম আফ্রিকান হিসেবে আইওসির প্রেসিডেন্ট হতে পেরে আমি গর্বিত। আমি আশা করি, এই জয় অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা যোগাবে।
আজ যেন কাঁচের দেয়াল ভেঙে গেছে, এবং আমি আমার দায়িত্ব সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন।”
তিনি আরও যোগ করেন, “খেলাধুলা সবার জন্য ঐক্য, অনুপ্রেরণা এবং সুযোগ তৈরি করার এক অসাধারণ শক্তি রাখে।
আমি নিশ্চিত করতে চাই, আমরা যেন এই শক্তিকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগাতে পারি। অলিম্পিক আন্দোলনের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল এবং আমি কাজ শুরু করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।”
কোভেন্ট্রির প্রতিদ্বন্দ্বী লর্ড কোয়ে নিজেকে পরিবর্তনের পক্ষে থাকা একজন প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরেছিলেন। তিনি আইওসিকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আরও বেশি খোলামেলা হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
কিন্তু ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকে রাশিয়ার সব অ্যাথলেটকে নিষিদ্ধ করার ঘটনায় বিদায়ী প্রেসিডেন্ট থমাস বাখের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খারাপ হয়, যা তাঁর সুযোগ কমিয়ে দেয়।
উল্লেখ্য, আগামী ২৩ জুন অলিম্পিক দিবসে বর্তমান প্রেসিডেন্ট থমাস বাখের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কোভেন্ট্রি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান