আফগানিস্তানে অপহৃত এক মার্কিন নাগরিককে অবশেষে মুক্তি দিয়েছে তালেবান সরকার। দুই বছরের বেশি সময় পর, জর্জ গ্লেজম্যান নামের ওই ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (স্থানীয় সময়) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। কাতার সরকারের মধ্যস্থতায় এই মুক্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
জানা যায়, ৬৭ বছর বয়সী জর্জ গ্লেজম্যান পেশায় একজন বিমান প্রকৌশলী। পর্যটক হিসেবে আফগানিস্তানে ঘুরতে গিয়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তালেবানদের হাতে তিনি অপহৃত হন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এবং কাতারের আলোচনার মাধ্যমেই তার মুক্তির পথ সুগম হয়। মুক্তির পর গ্লেজম্যানকে কাতারের রাজধানী দোহা হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারকো রুবিও এক বিবৃতিতে কাতারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, “জর্জের মুক্তি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে, আফগানিস্তানে এখনো অন্যান্য আমেরিকান নাগরিকরা বন্দী রয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাদের মুক্ত করতে অবিরাম কাজ করে যাবেন।
আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও গ্লেজম্যানের মুক্তিকে মানবিক দিক থেকে দেখা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছে। মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “আলোচনা, বোঝাপড়া এবং কূটনৈতিক পদ্ধতির মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান সম্ভব।”
গ্লেজম্যানের মুক্তি পাওয়ার ঘটনাটি ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর তালেবানের সঙ্গে সম্পর্কের ‘স্বাভাবিকীকরণের’ একটি অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যদিও এখনো অনেক দেশ তালেবানের শাসনকে স্বীকৃতি দেয়নি।
এর আগে, গত জানুয়ারিতেও কাতার সরকারের মধ্যস্থতায় তালেবান কর্তৃপক্ষ রায়ান করবett এবং উইলিয়াম ম্যাককেনটি নামের আরো দুই মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দিয়েছিল। তাদের মুক্তির বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র মাদক পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত খান মোহাম্মদ নামের এক আফগান নাগরিককে মুক্তি দেয়।
তবে, জর্জ গ্লেজম্যানের মুক্তির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। এটিকে তালেবানের ‘শুভ ইচ্ছার’ বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে, এখনো মাহমুদ হাবিবী নামের একজন মার্কিন-আফগান ব্যবসায়ীকে তালেবান বন্দী করে রেখেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তার পরিবারের সদস্যরা অবিলম্বে হাবিবীর মুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তারা বলছেন, “আমরা আত্মবিশ্বাসী যে ট্রাম্প প্রশাসন হাবিবীর মুক্তির জন্য কাজ করবে।
তথ্যসূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস