1. [email protected] : adminb :
  2. [email protected] : Babu : Nurul Huda Babu
March 22, 2025 3:23 AM
সর্বশেষ সংবাদ:
যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ: ট্রান্সজেন্ডারদের জন্য ডেনমার্ক ও ফিনল্যান্ডের উদ্বেগে সতর্কতা! মাছগুলো কেন ঘুরতে ঘুরতে মরছে? ভয়ঙ্কর পুনরাবৃত্তি ফ্লোরিডায়! ট্রাম্পের মিথ্যাচারে তোলপাড়! ভোটের হিসাব থেকে ইউক্রেন, সবজায়গায় বিভ্রান্তি? ভেনেজুয়েলার পুরুষদের নির্বাসনে ট্যাটুর ‘ভুল’ প্রমাণ! চাঞ্চল্যকর তথ্য ধ্বংসের পথে মুম্বাইয়ের কাছে পাওয়ারলুম! শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ কী? ফটো: ময়লার ভাগাড়ে যাদের জীবন, ইস্তাম্বুলের এই মানুষগুলোর করুন অবস্থা! ফুটবল: তারকাদের আলিঙ্গন আর ফ্ল্যাশমব, খেলার মাঠে অন্যরকম দিন! ইংল্যান্ডকে হারাতে মরিয়া প্রতিদ্বন্দ্বীরা! বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নে বিভোর? মার্কিন বাজার: ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে বিশ্ব কাঁপছে? বড় ধাক্কা! যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তে কানাডার মানুষের কান্না!

কোলন ক্যান্সার থেকে বাঁচতে চান? এখনই এই উপায়গুলো দেখুন!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Friday, March 21, 2025,

কোলোরেক্টাল ক্যান্সার বা কোলন ও রেক্টাম ক্যান্সার বর্তমানে একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির মতে, যুক্তরাষ্ট্রে ক্যান্সার সম্পর্কিত মৃত্যুর এটি তৃতীয় প্রধান কারণ। প্রতি বছর এখানে লক্ষাধিক মানুষের এই রোগ ধরা পড়ে এবং এর শিকার হয়ে বহু মানুষ প্রাণ হারান।

উদ্বেগের বিষয় হলো, শুধু বয়স্ক ব্যক্তিরাই নন, তরুণদের মধ্যেও এই ক্যান্সারের প্রবণতা বাড়ছে। আমাদের দেশেও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে, তাই এর কারণ, প্রতিরোধ এবং স্ক্রিনিং সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা জরুরি।

কোলন ক্যান্সার আসলে কী? আমাদের পরিপাকতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো কোলন বা বৃহদন্ত্র এবং মলাশয় বা রেক্টাম। যখন এই অঙ্গগুলোতে ক্যান্সার হয়, তখন তাকে কোলোরেক্টাল ক্যান্সার বলা হয়। ক্যান্সার কোষের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধিতে টিউমার তৈরি হয় এবং এটি শরীরের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি কাদের বেশি? জীবনযাত্রার ধরনের সঙ্গে এই ক্যান্সারের যোগসূত্র রয়েছে। অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা, ডায়াবেটিস, ধূমপান, অতিরিক্ত মদ্যপান এবং বেশি পরিমাণে লাল মাংস ও প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ করা এই রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

এছাড়া, কিছু ক্ষেত্রে এটি বংশগত কারণেও হতে পারে। যাদের পরিবারে এই রোগের ইতিহাস আছে, তাদের ঝুঁকি বেশি। যাদের ‘ইনফ্ল্যামেটরি বাওয়েল ডিজিজ’ (যেমন – ক্রোনস ডিজিজ বা আলসারেটিভ কোলাইটিস) আছে, তাদেরও এই ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পেটের অঞ্চলে রেডিয়েশন থেরাপি নিলেও ঝুঁকি বাড়ে।

তরুণদের মধ্যে কেন বাড়ছে এই ক্যান্সার? সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, অল্পবয়সীদের মধ্যে কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। এর সঠিক কারণ এখনো অজানা, তবে খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাত্রার পরিবর্তন এবং পরিবেশগত কিছু বিষয় এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।

ফাস্ট ফুড ও প্রক্রিয়াজাত খাবারের প্রতি আসক্তি, শারীরিক কার্যকলাপের অভাব এবং অতিরিক্ত ওজন—এগুলো সবই ঝুঁকির কারণ।

চিকিৎসা পদ্ধতি: কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের চিকিৎসা নির্ভর করে ক্যান্সারের পর্যায় এবং রোগীর সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ওপর। সাধারণত অস্ত্রোপচার করা হয়। এর সঙ্গে রেডিয়েশন থেরাপি, কেমোথেরাপি এবং কিছু ক্ষেত্রে ইমিউনোথেরাপিও দেওয়া হয়।

ক্যান্সার যদি প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে, অর্থাৎ শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে যাওয়ার আগেই চিকিৎসা শুরু করা যায়, তবে রোগীকে সুস্থ করে তোলার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

কখন এবং কীভাবে স্ক্রিনিং করাবেন? কোলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য স্ক্রিনিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত, যাদের ঝুঁকি বেশি নয়, তাদের ক্ষেত্রে ৪৫ বছর বয়স থেকে স্ক্রিনিং শুরু করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

যাদের পারিবারিক ইতিহাস আছে বা অন্য কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে আগে থেকেই স্ক্রিনিং শুরু করা উচিত।

ক্যান্সার স্ক্রিনিংয়ের জন্য বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা রয়েছে:

  • কোলনস্কোপি: এই পদ্ধতিতে একটি সরু, নমনীয় টিউবের (colonoscope) মাধ্যমে কোলন এবং রেক্টামের ভেতরের অংশ পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে পলিপ (ক্যান্সারের পূর্ববর্তী অবস্থা) শনাক্ত করা যায় এবং প্রয়োজনে তা অপসারণ করা যায়।
  • সিগমায়েডস্কোপি: এটি কোলনস্কোপির মতো, তবে কোলনের কিছু অংশ পরীক্ষা করা হয়।
  • সিটি কোলনোগ্রাফি (ভার্চুয়াল colonoscopy): সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে কোলনের ছবি নেওয়া হয়।
  • স্টুল-ভিত্তিক পরীক্ষা: এই পরীক্ষায় মল পরীক্ষার মাধ্যমে রক্ত বা টিউমারের ডিএনএ শনাক্ত করা হয়।
  • রক্ত পরীক্ষা: সম্প্রতি, কোলোরেক্টাল ক্যান্সার স্ক্রিনিংয়ের জন্য একটি রক্ত পরীক্ষার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যা মল পরীক্ষার মতোই কার্যকর।

ঝুঁকি কমাতে করণীয়: কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে হলে জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি। ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করতে হবে। স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে হবে। নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ করতে হবে।

খাদ্যতালিকায় আরও বেশি ফল, সবজি, শস্য এবং ফাইবার যোগ করতে হবে। প্রক্রিয়াজাত খাবার ও লাল মাংসের পরিমাণ কমাতে হবে।

সচেতনতা ও প্রতিরোধ: কোলোরেক্টাল ক্যান্সার একটি মারাত্মক রোগ, তবে সচেতনতা এবং প্রতিরোধের মাধ্যমে এর ঝুঁকি কমানো সম্ভব। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো এবং ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। আমাদের দেশেও কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং স্ক্রিনিংয়ের সুযোগ আরও সহজলভ্য করা প্রয়োজন।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT