শিরোনাম: লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের পর স্বাভাবিক অবস্থা, বিশ্বজুড়ে বিমান ভ্রমণে এখনো বিলম্বের শঙ্কা
লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে সৃষ্ট জটিলতা কাটিয়ে ওঠা গেলেও, বিশ্বজুড়ে বিমান ভ্রমণে এখনো বিলম্বের আশঙ্কা কাটেনি। শনিবার সকালে বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে শুরু হলেও, বিমানবন্দরের কর্মীদের পুনর্বাসন এবং ফ্লাইট সূচি পুনরায় সাজাতে বেশ কয়েক দিন সময় লাগতে পারে।
শুক্রবার বিমানবন্দরের কাছে একটি বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনে আগুন লাগার ফলে এই বিপর্যয় ঘটেছিল। এর ফলে বিমানবন্দরের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং এক হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল বা বিলম্বিত হয়, যার প্রভাব পড়ে বিশ্বজুড়ে।
জরুরি অবস্থার কারণে অনেক বিমানকে অন্য বিমানবন্দরে অবতরণ করতে বাধ্য করা হয়।
হিথরোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টমাস ওল্ডব্যের মতে, শনিবার থেকে বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে, তবে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজসহ বিভিন্ন বিমান সংস্থা তাদের কর্মীদের পুনর্বাসনের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে।
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ জানিয়েছে, তারা শনিবার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফ্লাইট পরিচালনা করার চেষ্টা করছে। তবে, এই ঘটনার কারণে আগামী কয়েক দিন যাত্রীদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিলম্ব হতে পারে।
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, শন ডয়েল, এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এমন একটি বড় ঘটনার পর আমাদের কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে শুধু যাত্রী সাধারণই নন, বিমান সংস্থাগুলোকেও ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে।
বিমানের ক্রু ও কর্মীদের অন্য বিমানবন্দরে সরিয়ে নেওয়ায় নতুন করে সময়সূচী তৈরি করতে হচ্ছে। ন্যাশনাল গ্রিড জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত সাবস্টেশনের বিদ্যুৎ সরবরাহ এখন স্বাভাবিক করা হয়েছে।
হিথরো বিমানবন্দর, যা যাত্রী পরিবহনের দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর, সেখানে গত বছর প্রায় ৮ কোটি ৪০ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেছে।
এই বিমানবন্দরের চারটি টার্মিনাল একসঙ্গে ৯৯ শতাংশ যাত্রী ধারণ করতে পারে। বিমানবন্দরের কর্মীরা দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন, কিন্তু এর প্রভাব কাটিয়ে উঠতে বেশ কয়েক দিন সময় লাগবে।
এই ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে, তবে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের নাশকতা বা ষড়যন্ত্রের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিমানবন্দরের মুখপাত্র জানিয়েছেন, অন্যান্য বিমানবন্দরে আটকে পড়া যাত্রীদের দ্রুত তাদের গন্তব্যে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বিশ্বজুড়ে বিমান চলাচলে হিথরোর এই ঘটনার প্রভাব একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ, বিশ্বায়নের এই যুগে বিমান যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বিমানবন্দরের সামান্য ত্রুটিও বিশ্বজুড়ে ভ্রমণের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন