ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে নারীর ক্ষমতায়ন এবং নাট্যকলার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ‘প্লেহাউস ক্রিয়েচার্স’।
সতেরো শতকের ইংল্যান্ডের প্রেক্ষাপটে নারীদের মঞ্চে আসার ঐতিহাসিক ঘটনা নিয়ে নির্মিত এপ্রিল ডি অ্যাঞ্জেলিসের নাটক ‘প্লেহাউস ক্রিয়েচার্স’। ১৯৯৩ সালে মঞ্চস্থ হওয়া এই নাটকটি সম্প্রতি লন্ডনের অরেঞ্জ ট্রি থিয়েটারে নতুন করে দর্শকদের সামনে এসেছে।
নাটকের বিষয়বস্তু, নারী চরিত্র এবং সমাজের চোখে তাদের অবস্থান, সব মিলিয়ে এটি দর্শকদের মনে গভীর রেখাপাত করেছে।
নাটকটি মূলত সেই সময়ের পাঁচজন নারীর গল্প বলে, যখন নারীদের অভিনয় করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এই নারীরা একদিকে যেমন নিজেদের ক্ষমতায়নের স্বপ্ন দেখতেন, তেমনই সমাজের রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে তাদের প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করতে হতো।
এই পাঁচ নারী হলেন: ইতিহাসের পাতায় পরিচিত অভিনেত্রী নেল গুইন, মিসেস বেটারটন, মিসেস মার্শাল, মিসেস ফার্লে এবং ডল।
জোই ব্রো নেল গুইনের চরিত্রে প্রাণবন্ত অভিনয় করেছেন। অন্যদিকে আনা চ্যান্সেলর মিসেস বেটারটনের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন।
এছাড়াও ক্যাথরিন কিংগসলে, নিকোল সাওয়াইয়ার এবং ডোনা ক্রল তাদের নিজ নিজ চরিত্রে গভীরতা এনেছেন। মাইকেল ওকলি-র পরিচালনায় নাটকটি মঞ্চে জীবন্ত হয়ে উঠেছে, যা দর্শকদের সেই সময়ের প্রেক্ষাপটে নিয়ে যায়।
মঞ্চের আলো, পোশাক এবং দৃশ্যের পরিকল্পনা দর্শকদের আকৃষ্ট করে।
নাটকটিতে নারীদের পেশাগত জীবন, প্রেম এবং স্বপ্নগুলি তুলে ধরা হয়েছে। একই সাথে, নাটকের ভেতরের গল্পগুলিও দর্শকদের আকর্ষণ করে।
যেখানে দেখা যায়, নারীদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক, তাদের প্রতিযোগিতা এবং ব্যক্তিগত জীবন। সমাজে নারীদের অবস্থান কেমন ছিল, কীভাবে তারা নিজেদের অধিকারের জন্য লড়াই করতেন, সেসব বিষয়গুলো নাটকে স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে নারীর ক্ষমতায়ন এবং নাট্যকলার এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় তুলে ধরার জন্য ‘প্লেহাউস ক্রিয়েচার্স’ একটি উল্লেখযোগ্য কাজ। নাটকটি শুধু বিনোদনই জোগায় না, বরং দর্শকদের সেই সময়ের সামাজিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন করে তোলে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান