1. [email protected] : adminb :
  2. [email protected] : Babu : Nurul Huda Babu
April 2, 2025 12:47 AM
সর্বশেষ সংবাদ:
আতঙ্কের দিন? ট্রাম্পের শুল্ক: ব্রিটেন কি বাঁচবে? অবশেষে: ইংল্যান্ডের কোচ হলেন শার্লট এডওয়ার্ডস, বড় চমক! চাগোস দ্বীপ: অবশেষে ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে কি হচ্ছে? উত্তেজনা তুঙ্গে! লুভরে খাবারের জগৎ: শিল্প আর স্বাদের এক অনবদ্য যাত্রা! আশ্চর্য! পুরোনো পথে আজও হাঁটা যায়? ফিরে দেখা ইতিহাসের সাক্ষী! ট্রাম্পের মনোনীত জেনারেলের ‘মাগা’ টুপি নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য! টিকটক বাঁচানোর মিশনে ট্রাম্প! ব্যবহারকারীদের জন্য বিরাট সুখবর? বিটকয়েন কিনে মহাকাশ অভিযান! উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতে যাচ্ছেন এই বিনিয়োগকারী বদলে যান, জীবন গড়ুন! লিভারপুলের শিক্ষা ও সাফল্যের গোপন সূত্র! ট্রাম্পের গলফ কোর্সে ভাঙচুর: ভয়ানক ক্ষতি! খেলা বন্ধ!

যন্ত্রণাক্লিষ্ট জীবন: ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে টিবি রোগীদের মৃত্যু বাড়ছে?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Sunday, March 30, 2025,

শিরোনাম: বিশ্বজুড়ে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ব্যাহত, মার্কিন সাহায্য হ্রাসের কারণে বাড়ছে মৃত্যুঝুঁকি।

বিশ্বের শীর্ষ সংক্রামক ঘাতক ব্যাধি যক্ষ্মা বা টিবি (Tuberculosis) নিয়ন্ত্রণে সহায়তাকারী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কর্মসূচিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়ন কমানোর সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এর ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই আরও কঠিন হয়ে পড়ছে এবং বহু মানুষের জীবনহানির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের নেওয়া কিছু সিদ্ধান্তের কারণে এই সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organization – WHO) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বিশ্বে প্রায় ১ কোটি ২৫ লক্ষ মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং এদের মধ্যে প্রায় ১৩ লক্ষ মানুষ মারা গেছেন। সঠিক চিকিৎসা ও প্রতিরোধের মাধ্যমে এই রোগ সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য।

তবে, চিকিৎসা না হলে এই রোগে আক্রান্ত ৫০ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (United States Agency for International Development – USAID) দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দেশে যক্ষ্মা নির্মূল কর্মসূচিতে অর্থায়ন করে আসছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই এই সংস্থার তহবিল হ্রাস করার কারণে অনেক দেশের কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিশেষ করে যেসব দেশে টিবির প্রকোপ বেশি, সেখানকার পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, টিবি রোগীরা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, এই তহবিল কমানোর ফলে শুধু মৃত্যুহার বাড়বে তাই নয়, অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী (drug-resistant) টিবি-র মতো মারাত্মক রূপগুলোও আরও দ্রুত ছড়াতে পারে।

ইতোমধ্যেই, ইউএসএআইডি-র তহবিল প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে দুই মাসের মধ্যে ১১,০০০ এর বেশি টিবি রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আফ্রিকা, এশিয়া এবং ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোতে, যেখানে টিবি একটি বড় সমস্যা, সেখানকার স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন যে মার্কিন সাহায্য কমে যাওয়ায় তাঁরা রোগী শনাক্তকরণ, রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার ক্ষেত্রে বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।

অনেক স্থানে, রোগীদের চিকিৎসাসেবা বন্ধ হয়ে গেছে বা ব্যাহত হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, মোজাম্বিকে, ইউএসএআইডি-র সহায়তায় পরিচালিত পরীক্ষাগারগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন পর্যন্ত সেখানে টিবি নির্ণয় প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিবি-র চিকিৎসায় বিলম্ব হলে বা চিকিৎসা মাঝপথে বন্ধ হয়ে গেলে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী টিবি-র ঝুঁকি বাড়ে। এই ধরনের টিবি-র চিকিৎসা খুবই কঠিন এবং এতে আক্রান্ত ব্যক্তির সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে।

বর্তমানে অনেক রোগী তাঁদের ওষুধ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কেউ কেউ তাঁদের ওষুধ ভাগাভাগি করতে বাধ্য হচ্ছেন, যা রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে আরও বড় ঝুঁকি তৈরি করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অঞ্চলে, বিশেষ করে কানসাস সিটি মেট্রো এলাকায়, টিবি-র প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। এখানকার পরিস্থিতিও উদ্বেগের কারণ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের সাহায্য হ্রাস করা হলে রোগের বিস্তার আরও বাড়বে, যা শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আরও বেশি অর্থ খরচ করতে বাধ্য করবে।

তথ্যসূত্র: সিএনএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT