মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজার: মার্চ মাসের প্রতিবেদনে কী আশা করা হচ্ছে?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থান বিষয়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে যাচ্ছে, যেখানে দেশটির শ্রমবাজারের হালচাল সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, যদিও নতুন কর্মী নিয়োগের গতি কিছুটা কমবে, তবুও সামগ্রিকভাবে শ্রমবাজারটি এখনো বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। তবে, এই পরিস্থিতি কতদিন বজায় থাকে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মার্চ মাসের প্রতিবেদনে প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হতে পারে। যেখানে ফেব্রুয়ারী মাসে এই সংখ্যাটা ছিল ১ লক্ষ ৫১ হাজার। এর পাশাপাশি, বেকারত্বের হার বেড়ে ৪.২ শতাংশে পৌঁছাতে পারে, যা আগের মাসে ছিল ৪.১ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। সরকারি নীতি এবং বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কারণে কর্মসংস্থানে প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ করে, সরকারি খাতে কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়টি এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। ফেব্রুয়ারী মাসেই এই খাতে প্রায় ১০ হাজার কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। সরকারী দপ্তরগুলোতে কাজের দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্যে নেওয়া পদক্ষেপের কারণে, ফেব্রুয়ারী মাস থেকে প্রায় ৩ লক্ষ কর্মীকে ছাঁটাই করার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও এই ছাঁটাই প্রক্রিয়াটি ধীরে ধীরে সম্পন্ন হবে, তাই বেকারত্বের সংখ্যাও সেভাবে বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক হলো ভোক্তাদের ব্যয় করার ক্ষমতা। কারণ, দেশটির অর্থনীতির দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসে এই খাত থেকে। শ্রমবাজারে যদি কর্মী নিয়োগের গতি কমে যায়, তবে এর প্রভাব ভোক্তাদের ব্যয়ের ওপর পড়তে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের একটি প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার। দেশটির অর্থনীতির ভালো-মন্দ প্রভাব আমাদের রপ্তানি খাত, প্রবাসী আয় এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর ফেলতে পারে। তাই, যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজারের এই পরিবর্তনের দিকে আমাদের নজর রাখা প্রয়োজন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন