মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি জ্যামিসন গ্রিয়ার বুধবার দেশটির আইনপ্রণেতাদের সামনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগ্রাসী বাণিজ্য নীতি নিয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এই সময়টাতে, বিভিন্ন দেশের উপর আরও কঠোর হারে শুল্ক আরোপ করার বিষয়টিও কার্যকর হতে শুরু করেছে।
এই পরিস্থিতিতে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যেকার বাণিজ্য সম্পর্ক নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
চীনের উপর ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন শুল্কের আঘাত সবচেয়ে বেশি পড়েছে, যা দেশটির জন্য অন্তত ১০৪ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বৃদ্ধি করেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় চীনও দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে এবং তারা যুক্তরাষ্ট্রের থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।
মঙ্গলবার সিনেটের আইনপ্রণেতাদের সাথে আলাপকালে গ্রিয়ার জানান, সামগ্রিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত প্রয়োজনীয় ছিল, যদিও এর ফলে শেয়ার বাজারে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এই শুল্কের মূল উদ্দেশ্য হল বিদেশি দেশগুলোর ‘অবাণিজ্যিক বাধা’ দূর করা। এই ‘অবাণিজ্যিক বাধা’র মধ্যে রয়েছে এমন কিছু নিয়মকানুন, যা মার্কিন কোম্পানিগুলোর জন্য প্রতিকূল।
এই বাণিজ্য যুদ্ধের সরাসরি প্রভাব হয়তো এখনো বাংলাদেশে সেভাবে পড়েনি, তবে এর একটি পরোক্ষ প্রভাব অবশ্যই রয়েছে। চীন বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রধান বাণিজ্য সহযোগী।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রও বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বাজার। তাই, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেকার এই বাণিজ্য বিরোধের কারণে বিশ্ব বাজারে পণ্যের দামে পরিবর্তন আসতে পারে, যা বাংলাদেশের অর্থনীতিকেও প্রভাবিত করতে পারে।
বিশেষ করে, পোশাক শিল্পের মতো রপ্তানিনির্ভর খাতগুলোয় এর প্রভাব পড়তে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে এবং বিশ্ব অর্থনীতির এই পরিবর্তনের সাথে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে প্রস্তুত থাকতে হবে।
বাণিজ্য ঘাটতি, শুল্ক এবং অবাধ বাণিজ্য—এসব বিষয়গুলো এখন বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্য সূত্র: সিএনএন