বিশ্বের বৃহত্তম খুচরা বিক্রেতা ওয়ালমার্ট তাদের মুনাফা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সরকার চীন, ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
এই শুল্কের কারণে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে তাদের পরিচালন মুনাফা কেমন হবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি।
ওয়ালমার্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শুল্কের প্রভাব মোকাবিলায় তারা কিভাবে বাজারের সঙ্গে তাল মেলাবে, সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।
তবে, কোম্পানিটি তাদের বিক্রয়ে প্রায় ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আশা করছে। একইসঙ্গে, পুরো অর্থবছরের জন্যেও তারা তাদের বিক্রয় এবং মুনাফার পূর্বাভাস বহাল রেখেছে।
ওয়ালমার্টের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা জন ডেভিড রেইনি এক বিবৃতিতে বলেন, “ইতিহাস আমাদের শিখিয়েছে, অনিশ্চয়তার এই সময়ে ওয়ালমার্ট তার অবস্থান আরও সুসংহত করবে এবং বাজারের বৃহত্তর অংশীদার হতে পারবে।”
বিশ্লেষকদের মতে, ওয়ালমার্ট এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাদের বিশাল আকার, প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং শক্তিশালী সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যবহার করতে পারবে।
এমনকি শুল্কের কারণে তাদের খরচ বাড়লেও, তারা গ্রাহকদের জন্য পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে সক্ষম হবে। ফলে, অন্যান্য প্রতিযোগীদের থেকে তারা বাজার হিস্যা বাড়াতে পারে।
এভারকোর আইএসআই-এর বিশ্লেষক গ্রেগ মেলিশ এক নোটে উল্লেখ করেছেন, “ওয়ালমার্ট এই অনিশ্চয়তার সময়ে তার স্কেল, প্রযুক্তি এবং সরবরাহ শৃঙ্খলের সুবিধা কাজে লাগিয়ে নেতৃত্ব দেবে।”
তিনি আরও বলেন, “কোম্পানিটি অস্থির ভোক্তা বাজার এবং ভূ-রাজনৈতিক পরিবেশ ভালোভাবেই মোকাবেলা করতে পারবে।”
ওয়ালমার্টের এই ঘোষণার পর শেয়ার বাজারে তাদের শেয়ারের দাম ৩ শতাংশ বেড়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কোম্পানির প্রতি আস্থার প্রতিফলন।
যদিও এই পরিস্থিতি থেকে ওয়ালমার্ট পুরোপুরি মুক্ত নয়, তবুও বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তারা অন্যান্য অনেক কোম্পানির চেয়ে ভালোভাবেই এই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে।
বিশ্ব অর্থনীতিতে শুল্কের প্রভাব এবং বাজারের অস্থিরতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা বিভিন্ন দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং ভোক্তাদের ওপর প্রভাব ফেলে।
তথ্য সূত্র: CNN