যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে টিকটক-এর ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চিত, কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প এর নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা আরও ৭5 দিন বাড়িয়েছেন। এই পদক্ষেপের মূল কারণ হলো টিকটক-কে বিক্রি করার একটি চুক্তিতে পৌঁছানো।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন যে, টিকটক-কে টিকিয়ে রাখতে তার প্রশাসন জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
জানা গেছে, টিকটকের চীনা মালিকানা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স-কে হয় তাদের ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতে হবে, না হয় মার্কিন অধিকার বিক্রি করতে হবে। জাতীয় নিরাপত্তার কারণে এমনটা করার কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা।
বাইটড্যান্স যদি তাদের ব্যবসা বিক্রি করতে রাজি না হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।
এই বিষয়ে ট্রাম্পের প্রশাসন এবং টিকটকের মধ্যে একটি চুক্তি করার চেষ্টা চলছে। এই চুক্তির অংশ হিসেবে, টিকটকের আমেরিকান সম্পদ সম্ভবত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওরাকল এবং অন্যান্য মার্কিন বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রি করা হতে পারে।
যদিও বাইটড্যান্স-এর হাতে টিকটকের কিছু অংশীদারিত্ব তখনও থাকতে পারে।
এই চুক্তির সময়সীমা বাড়ানোয় যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের ১৭০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী আপাতত তাদের পছন্দের ভিডিও প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করতে পারবেন। তবে, চূড়ান্ত চুক্তি সম্পন্ন হতে দেরি হওয়ায় টিকটকের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
বাইটড্যান্স এবং চীনা সরকারের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কও বেশ জটিল আকার ধারণ করেছে। উভয় দেশই একে অপরের পণ্যের উপর শুল্ক বাড়িয়েছে।
ট্রাম্প অবশ্য ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, টিকটকের বিষয়ে বেইজিং রাজি হলে তিনি চীনের উপর শুল্ক কমানোর কথা বিবেচনা করতে পারেন।
ট্রাম্প বলেছেন, তিনি চান না টিকটক বন্ধ হয়ে যাক। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, চীন এর সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে চান।
এই ঘটনার ফলে, বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি এবং ডেটা সুরক্ষার বিষয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে, কোনো বিদেশি কোম্পানির ডেটা ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে দেশগুলোর মধ্যে যে নীতিগত পার্থক্য রয়েছে, সেটিও সামনে আসছে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন