স্কটল্যান্ডে বিশাল বনভূমিতে ভয়াবহ দাবানল দেখা দিয়েছে, জরুরি অবস্থা।
যুক্তরাজ্যের স্কটল্যান্ডে একটি বিশাল বনভূমিতে ভয়াবহ দাবানল দেখা দিয়েছে। দেশটির দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। খবর অনুযায়ী, গ্যালোওয়ের গ্লেনট্রুল এলাকায় শুক্রবার রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, দাবানলটি পূর্ব আয়ারশায়ারের লখ ডুনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আগুন নেভানোর জন্য হেলিকপ্টারের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, মেরিক হিল, বেন ইলারি এবং লখ ডি এলাকাতেও আগুনের প্রভাব পড়েছে।
পুলিশ স্কটল্যান্ড আরও জানায়, এর আগে বৃহস্পতিবার একই এলাকায় আরেকটি ছোট আকারের দাবানল দেখা গিয়েছিল, যা প্রায় ১.৫ মাইল এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল। এছাড়া, বুধবার স্টার্লিংয়ের পোর্ট অফ মেনটিথে গার্টার মসে একটি বড় ঘাসবনে আগুন লাগে।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ফায়ার চিফস কাউন্সিল (এনএফসিসি) জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাদের পরিষেবাগুলোতে চরম চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তারা জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদী এবং পর্যাপ্ত বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছে।
এনএফসিসি’র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছর যুক্তরাজ্যে ২৮৬টি দাবানলের ঘটনা ঘটেছে। ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় যা ১০০টিরও বেশি। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে রেকর্ড তাপমাত্রা এবং ব্যাপক দাবানলের ঘটনা ঘটেছিল।
এনএফসিসি সতর্ক করে বলেছে, বর্তমান বাজেট দিয়ে তারা দাবানলের মতো ঘটনাগুলোর সঙ্গে পেরে উঠছে না। কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ফিল গ্যারিগান বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন যে চরম আবহাওয়ার কারণ, তা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। দাবানলের মোকাবিলার জন্য প্রচুর সম্পদ প্রয়োজন হয় এবং প্রায়ই দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে হয়। এর ফলে অন্যান্য অগ্নিনির্বাপণ পরিষেবাগুলোতে চাপ বাড়ে। ঝুঁকি বাড়ছে, তাই দমকল কর্মীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ করা দরকার, যাতে আমরা আমাদের জনগনকে সুরক্ষিত রাখতে পারি।”
এদিকে, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং ইংল্যান্ডের দমকল বাহিনী এই উইকেন্ডে খোলা জায়গায় বারবিকিউ এবং ক্যাম্পফায়ারের ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়াও, তারা লোকজনকে সিগারেট সঠিকভাবে ফেলার জন্য অনুরোধ করেছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান