যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আগামী সোমবার ওয়াশিংটনে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বিভিন্ন সূত্রে খবর, এই বৈঠকে বাণিজ্য শুল্ক এবং গাজায় চলমান যুদ্ধসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
খবর অনুযায়ী, এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে আন্তর্জাতিক মহল, কারণ এর ফলস্বরূপ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নতুন মোড় নিতে পারে।
জানা গেছে, ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন, যার মধ্যে ইসরায়েলও রয়েছে। বৈঠকে এই শুল্ক কমানো বা পুরোপুরি তুলে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্প এই শুল্ককে নেতানিয়াহুর কাছ থেকে সুবিধা আদায়ের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
বৈঠকে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যায় কিনা, সে বিষয়েও আলোচনা হতে পারে। এছাড়াও, ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা, তুরস্কের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) -এর তদন্তের মতো বিষয়গুলোও আলোচনায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, আইসিসি গত বছর নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল।
ফিলিস্তিনিরা তাদের ভবিষ্যৎ স্বাধীন রাষ্ট্রের কেন্দ্র হিসেবে পশ্চিম তীরের কিছু অংশকে চায়। ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েলের সম্ভাব্য এই অঞ্চল দখলের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হতে পারে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প এই বৈঠকের মাধ্যমে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের পাশাপাশি সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে নেতানিয়াহুকে রাজি করাতে পারেন। যদি তাই হয়, তবে এটি ইরানের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।
এদিকে, বৈঠকের আগে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা খাদ্য ও কৃষি পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তবে, বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ ট্রাম্পের আসন্ন শুল্ক আরোপের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস