ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতি নিয়ে একটি গুজব দ্রুত বিশ্ববাজারে আলোড়ন সৃষ্টি করে, যদিও পরে হোয়াইট হাউস তা অস্বীকার করে। সোমবার সকালে, শুল্ক স্থগিতের একটি মিথ্যা খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলস্বরূপ শেয়ার বাজারে অস্থিরতা দেখা যায়।
খবরটি আসার সঙ্গে সঙ্গে বাজারের সূচক ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে, কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই হোয়াইট হাউস একে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেয়।
ঘটনার সূত্রপাত হয় হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিলের পরিচালক কেভিন হ্যাসেটের একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে। একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে হ্যাসেটকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, ট্রাম্প কোনো শুল্ক স্থগিতের কথা ভাবছেন কিনা।
উত্তরে তিনি সরাসরি কিছু না বললেও, সেই কথার ভুল ব্যাখ্যা করে অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবরটি প্রচার করতে শুরু করে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এ (সাবেক টুইটার) কয়েকটি অ্যাকাউন্ট থেকে একই রকম বার্তা পোস্ট করা হয়, যেখানে বলা হয়, হ্যাসেট নাকি বলেছেন, চীন বাদে অন্যান্য দেশের জন্য শুল্ক স্থগিত করার কথা ভাবছেন ট্রাম্প। এই খবর দ্রুত শেয়ার বাজার ও কিছু সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এর ফলস্বরূপ, বিনিয়োগকারীরা দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানায় এবং বাজারে শেয়ারের দাম বাড়তে শুরু করে।
ডাউ জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ সূচক একসময় ১,৭০০ পয়েন্ট পর্যন্ত লোকসান দেখিয়েছিল, যা এই গুজবের কারণে দ্রুত ৮০০ পয়েন্টের বেশি বৃদ্ধি পায়। তবে, পরে যখন খবরটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়, তখন সূচকটি আবার ৬২৯ পয়েন্ট পর্যন্ত নেমে আসে।
এস অ্যান্ড পি ৫০০-এর অবস্থাও একই রকম ছিল – দ্রুত ওঠা-নামা করতে থাকে।
এই ঘটনার জেরে হোয়াইট হাউস প্রথমে কিছুটা বিভ্রান্ত ছিল। তবে প্রায় ২০ মিনিটের মধ্যে তারা এই খবরকে ‘মিথ্যা’ বা ‘ভিত্তিহীন’ বলে জানায়।
এই ঘটনা বিশ্ব অর্থনীতির অস্থিরতাকেই তুলে ধরে, যা বাণিজ্য নীতি এবং বাজারের সংবেদনশীলতা প্রমাণ করে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শুল্কের মতো বিষয়গুলো কিভাবে বাজারের ওপর প্রভাব ফেলে, এই ঘটনা তার একটি উদাহরণ।
এই ধরনের গুজব বাংলাদেশের অর্থনীতিকেও প্রভাবিত করতে পারে, কারণ বিশ্ব বাজারের যেকোনো পরিবর্তন আমাদের দেশের আমদানি-রপ্তানি এবং বিনিয়োগের ওপর প্রভাব ফেলে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)