আর্টের শুরুটা এমন:
যুক্তরাষ্ট্রের একটি অন্যতম প্রভাবশালী গল্ফ ক্লাব, অগাস্টা ন্যাশনাল, যেন এক ভিন্ন জগৎ। যেখানে কোকাকোলা বা পেপসির মতো বহুজাতিক ব্র্যান্ডের দেখা পাওয়া যায় না, সেখানে টিকে আছে ক্লাবের নিজস্ব ঐতিহ্য।
এই ক্লাবের অভ্যন্তরে যেন বাইরের রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত নীতিগুলো প্রায় অনুপস্থিত। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া মাস্টার্স টুর্নামেন্টের সময়টাতেই যেন এর প্রমাণ পাওয়া গেছে।
অগাস্টা ন্যাশনাল-এর আকর্ষণীয় পরিবেশে খেলা উপভোগ করতে আসা সদস্যদের মধ্যে ছিলেন বিভিন্ন কর্পোরেট জগতের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা। ওয়ারেন বাফেট, বিল গেটস, এমনকি অ্যামাজন, ডেল্টা এবং স্যান্টান্ডারের প্রধান নির্বাহীরাও ছিলেন সেখানে।
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুপস্থিতি যেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।
ট্রাম্পের সময়ে মার্কিন বাণিজ্য নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে, যা বিশ্বজুড়ে আলোচনার জন্ম দেয়। একদিকে যখন শুল্ক বৃদ্ধি নিয়ে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল, ঠিক তখনই অগাস্টা ন্যাশনাল যেন এই আলোচনা থেকে দূরে ছিল।
ক্লাবের ভেতরের পরিবেশ ছিল শান্ত ও স্নিগ্ধ। সেখানে খেলোয়াড়দের কিট-এর বাইরে কোনো ব্র্যান্ডের দেখা পাওয়া যায়নি, কেবল ক্লাবের নিজস্ব লোগো ছাড়া।
ক্লাবের চেয়ারম্যান ফ্রেড রিডলি তাঁর বার্ষিক প্রেস কনফারেন্সে পরিবেশের মনোরম বর্ণনা দেন, যেন ফুল গাছের সারিবদ্ধ চিত্র তুলে ধরছিলেন। তিনি খেলোয়াড়দের ধীর গতি, খেলার মাঠের দূরত্বের মতো বিষয়গুলো নিয়ে কথা বললেও ট্রাম্পের নাম একবারের জন্যেও উল্লেখ করেননি।
যেন বাইরের অস্থিরতা থেকে দূরে, এখানে সবাই তাদের নিজেদের জগৎ উপভোগ করতে আসে।
তবে, ক্লাবের সদস্যরা যে বাইরের জগৎ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন, তা বলা যাবে না। কারণ, তাঁদের মধ্যেও অনেকে হয়তো ট্রাম্পের নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
কিন্তু আলোচনার বিষয় ছিল অন্য কিছু। সবাই যেন প্রকৃতির সৌন্দর্য আর খেলার আনন্দ উপভোগ করতে ব্যস্ত ছিল।
আশ্চর্যের বিষয় হলো, এখানে আসা অনেক প্রভাবশালী সদস্যের মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোনো উপস্থিতি ছিল না। এমনকি তাঁর কোনো মন্তব্যও শোনা যায়নি।
হয়তো এটাই ছিল অনেকের কাছে স্বস্তির বিষয়। অগাস্টা ন্যাশনাল যেন সবসময় একটি শান্ত আশ্রয়স্থল।
আর্টিকেলটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে।