1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
April 21, 2025 5:17 PM
সর্বশেষ সংবাদ:
ঐতিহ্য আর প্রকৃতির মিশেল: নাভাহো উপজাতির ‘হোগান’-এ থাকার অভিজ্ঞতা! ডিস্নি ওয়ার্ল্ডে ভ্রমণের গোপন টিপস: এই জিনিসগুলি সবসময় সঙ্গে রাখেন ভ্রমণকারীরা! পোপ ফ্রান্সিস আর নেই: বিশ্বজুড়ে শোকের ছায়া! বয়স লুকানো: এবার এআই ব্যবহার করবে ইনস্টাগ্রাম! ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে প্রযুক্তি বিশ্বে মহা-বিপর্যয়! শেয়ারবাজারে বড় ধাক্কা পোপ ফ্রান্সিসের প্রয়াণ: এরপর কী ঘটবে? বিস্তারিত দেখুন! শিক্ষক মেলবন্ধন ২০২৫ এ শিক্ষক সম্মাননা পেলেন রাঙামাটি নুর জামাল  প্রশ্ন করুন! নাইজেল হাভার্সকে সরাসরি! সিনার্স: শিউরে ওঠা এক সিনেমা, ব্ল্যাকদের জীবন নিয়ে! সত্য গোপন! সৌদি আরবের ঘটনার পর মুখ খুললেন না ম্যাক্স ভারস্ট্যাপেন

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি: ফ্রান্সের ঘোষণায় কতটুকু আশা?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Sunday, April 13, 2025,

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন যে ফ্রান্স প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কয়েক মাসের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে পারে।

যদি তাই হয়, তাহলে ফরাসি প্রজাতন্ত্র হবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বাদশ দেশ যারা আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেবে। এর আগে, গত বছর স্লোভেনিয়া, আয়ারল্যান্ড এবং স্পেন ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

ফরাসি সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানানো হলেও, অনেকেই মনে করছেন, শুধু স্বীকৃতি দেওয়াটাই যথেষ্ট নয়। ফরাসি সরকারের উচিত ফিলিস্তিনের প্রতি তাদের আইনি ও রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতাগুলো পূরণ করা।

কারণ ইসরায়েলের বিভিন্ন অপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ফ্রান্স নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, ফরাসি সরকারের এই সিদ্ধান্ত অনেকটা ‘দেখাানোর জন্য’ নেওয়া হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফ্রান্সের উচিত ফিলিস্তিনের বিষয়ে আরও সক্রিয় হওয়া। তাদের অবশ্যই ১৯৬৭ সালের সীমান্ত এবং পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।

সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক আইন ও ঐকমত্যের প্রতি সম্মান জানাতে হবে। শুধু স্বীকৃতি দিলেই চলবে না, ইসরায়েল যাতে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে দখলদারিত্ব ও বসতি স্থাপন বন্ধ করে, সেই ব্যাপারে ফ্রান্সকে জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে ফ্রান্সের সেই ক্ষমতা রয়েছে।

ফরাসি সরকারের কিছু পদক্ষেপ সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) যখন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে, তখন ফ্রান্স কার্যত তাকে ছাড় দিয়েছিল।

এমনকি নেতানিয়াহুকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সময় ফরাসি আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, যা আইসিসির বিধি লঙ্ঘন। গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে যখন অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার দাবি উঠছে, তখনও ফ্রান্স ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে।

ফিলিস্তিনের ভূমি জবরদখল ও অবৈধ বসতি স্থাপন প্রক্রিয়াকে সমর্থন করার অভিযোগও রয়েছে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে। ফরাসি নাগরিকরা অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন করছে এবং ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীতে কাজ করছে, কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ফিলিস্তিন ইস্যুতে ফ্রান্সকে তার অবস্থান আরও স্পষ্ট করতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হিসেবে ফ্রান্সকে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি পর্যালোচনা করার জন্য চাপ দিতে হবে।

একইসঙ্গে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা, সমতা ও ভ্রাতৃত্বের আদর্শকে সমর্থন করতে হবে। এক্ষেত্রে ফ্রান্সকে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে আসা সম্ভাব্য চাপ মোকাবিলা করতে প্রস্তুত থাকতে হবে।

বর্তমানে, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন ফিলিস্তিনিদের জাতিগত নির্মূলের নীতিকে সমর্থন করছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ফিলিস্তিন ইস্যুতে দুর্বল অবস্থানে রয়েছে, তখন ফ্রান্সের সামনে একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ এসেছে।

আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল দেশগুলোর সঙ্গে ফ্রান্সও ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াতে পারে।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT