ররি ম্যাকইলরয়ের ঐতিহাসিক মাস্টার্স জয়, গড়লেন ‘ক্যারিয়ার গ্র্যান্ড স্ল্যাম’।
গোটা বিশ্ব যখন খেলাধুলায় মজে, তখন গল্ফ বিশ্বে এক নতুন ইতিহাস রচিত হলো। আয়ারল্যান্ডের গলফার ররি ম্যাকইলরয়, মাস্টার্স টুর্নামেন্টে অসাধারণ জয় ছিনিয়ে নিলেন। এই জয়ের মধ্যে দিয়ে তিনি শুধু একটি টুর্নামেন্ট জেতেননি, বরং গল্ফের ইতিহাসে নিজের নাম স্বর্ণাক্ষরে খোদাই করেছেন।
কারণ, এই জয়ের মাধ্যমে তিনি ‘ক্যারিয়ার গ্র্যান্ড স্ল্যাম’ সম্পন্ন করেছেন।
মাস্টার্স টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের অগাস্টা ন্যাশনাল গল্ফ ক্লাবে। ফাইনাল রাউন্ডে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় ইংল্যান্ডের জাস্টিন রোজের সঙ্গে। প্লে-অফে গিয়ে শেষ পর্যন্ত ররি ম্যাকইলরয় জয়ী হন।
খেলার শেষ মুহূর্তে তাঁর এই জয় এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে, বিশ্বজুড়ে তাঁর সতীর্থ এবং ক্রীড়াপ্রেমীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
এই জয়ের পর কিংবদন্তি গলফার টাইগার উডস শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “ওয়েলকাম টু দ্য ক্লাব, ম্যাকইলরয়। অগাস্টাতে গ্র্যান্ড স্ল্যাম সম্পন্ন করাটা বিশেষ কিছু। তোমার এই জয় প্রমাণ করে, তুমি কতটা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলে।”
ম্যাকইলরয়ের বন্ধু এবং সতীর্থ শেন লরি বলেন, “এই জয় ম্যাকইলরয়ের কাছে সবকিছু। সে সবসময় বলত, গ্রিন জ্যাকেট জিততে পারলে সে খুশি হয়ে অবসর নেবে। আমি তাঁর স্ত্রীকে বলেছি, এবার তিনি অবসর নিতে পারেন।”
আয়ারল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি মাইকেল ডি. হিগিন্সও ম্যাকইলরয়ের এই জয়কে ‘অসাধারণ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
উত্তর আয়ারল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার মিশেল ও’নিল এই জয়কে ক্রীড়া ইতিহাসের এক উজ্জ্বল মুহূর্ত হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং ম্যাকইলরয়কে ভবিষ্যতের প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
খেলা শেষে, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও এই জয় নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করা হয়। সংবাদমাধ্যমগুলো ম্যাকইলরয়ের এই জয়কে গল্ফের ইতিহাসে অন্যতম সেরা অর্জন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
“দ্য আইরিশ টাইমস” তাদের প্রধান শিরোনামে লিখেছে, “ররি অবশেষে অগাস্টা জয় করে গ্র্যান্ড স্ল্যাম সম্পন্ন করেছেন।”
“বেলফাস্ট টেলিগ্রাফ”-এর মতে, এটি “ররির মাস্টারপিস”।
বস্তুত, ররি ম্যাকইলরয়ের এই জয় গল্ফ বিশ্বের জন্য একটি বিরাট ঘটনা। তাঁর এই সাফল্য শুধু তাঁর নিজের জন্য নয়, বরং সমগ্র আয়ারল্যান্ড এবং গল্ফ বিশ্বের তরুণ প্রজন্মের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
এই জয় বুঝিয়ে দেয়, কঠোর পরিশ্রম এবং একাগ্রতা থাকলে যেকোনো কিছুই জয় করা সম্ভব।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।