যুক্তরাষ্ট্রের একজন নাগরিককে ভুলভাবে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ঘটনা নিয়ে তোলপাড় চলছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে হওয়া এই ঘটনার শিকার হওয়া ব্যক্তি, কিলার অ্যাব্রেগো গার্সিয়া, বর্তমানে মধ্য আমেরিকার দেশ এল সালভাদরে অবস্থান করছেন।
এই ঘটনায় মার্কিন সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।
আদালতের নির্দেশ অমান্য করে অভিবাসন প্রত্যাশী কিলমার অ্যাব্রেগো গার্সিয়াকে গত মাসে এল সালভাদরে ফেরত পাঠায় তৎকালীন ট্রাম্প প্রশাসন। মেরিল্যান্ডে বসবাস করা ২৯ বছর বয়সী গার্সিয়াকে প্রথমে ভেনেজুয়েলার কুখ্যাত গ্যাং ‘ট्रेन দে আরাগুয়ার’ সদস্য সন্দেহে আটক করা হয়।
তবে পরে বিচার বিভাগ জানায়, প্রশাসনিক ত্রুটির কারণে তাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। গার্সিয়া একজন মার্কিন নাগরিককে বিয়ে করেছেন।
সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেন সম্প্রতি এল সালভাদরে গিয়ে গার্সিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেন। তিনি জানান, গার্সিয়ার স্ত্রী জেনিফারকে তিনি তার ভালোবাসার বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন।
মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের এই ডেমোক্র্যাট সিনেটর জানান, তিনি ফিরে এসে বিস্তারিত জানাবেন।
এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়েব বুকেলে’র দপ্তর থেকে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, সিনেটর ভ্যান হোলেন গার্সিয়ার সাথে কথা বলছেন। তারা এটিকে “সুস্থ” ঘোষণা করে গার্সিয়াকে এল সালভাদরের হেফাজতে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘আল জাজিরা’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, গার্সিয়ার নির্বাসন প্রক্রিয়াটি যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ, তাকে ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। এমনকি একজন বিচারক তার বিরুদ্ধে শুনানির জন্য অপেক্ষা করতে বলেছিলেন।
এই ঘটনার জেরে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে রাজনৈতিক বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে। ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করছেন। অন্যদিকে, রিপাবলিকানরা বলছেন, গার্সিয়াকে ফেরত পাঠানো অপরাধ দমনের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ।
হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা গার্সিয়ার বিরুদ্ধে এমএস-১৩ গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন। যদিও গার্সিয়ার আইনজীবীরা এর কোনো প্রমাণ পাননি বলে দাবি করেছেন।
গার্সিয়ার স্ত্রী জেনিফার ভাসকুয়েজ সুরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি অনেক প্রশ্ন, আশা এবং উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা