যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম ১০০ দিনের কার্যক্রম পর্যালোচনা করতে গিয়ে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যের ভোটারদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষেরা বিশেষ করে অর্থনৈতিক নীতি এবং সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ক কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। এই প্রতিবেদনে সেই সব উদ্বেগের চিত্র তুলে ধরা হলো, যা বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

আরিজোনার বাসিন্দা ত betterমারা ভার্গা নামের একজন নারী, যিনি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সহায়তার জন্য একটি রেস্টুরেন্ট চালাচ্ছেন। তিনি জানান, ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলো ভালো হলেও, স্বাস্থ্যখাত এবং বয়স্ক নাগরিকদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিগুলোতে কাটছাঁট করা হলে তিনি উদ্বিগ্ন।

তিনি বলেন, “আমি চাই সরকার যেন সমাজের দুর্বল ও বয়স্কদের প্রতি যত্নশীল হয়, কারণ তাদের সহায়তা প্রয়োজন।”

অন্যদিকে, মেলিসা কর্ডেরো নামের একজন ডেমোক্র্যাট ও সাবেক সেনা সদস্য নতুন প্রশাসনের কিছু সিদ্ধান্তে হতাশ। তিনি বিশেষ করে অভিবাসন নীতি এবং প্রবীণ সেনা কর্মকর্তাদের সুযোগ-সুবিধা হ্রাসের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, “আমার মনে হয় আমাদের আরও কঠোর হতে হবে।”

আরিজোনার অর্থনীতির উপর শুল্ক নীতির প্রভাব নিয়েও অনেকে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। সানফেড নামক একটি খাদ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী ম্যাট ম্যান্ডেল বলেন, শুল্কের কারণে ব্যবসায় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, যা তাদের পরিকল্পনাকে কঠিন করে তুলেছে।

তিনি আরও যোগ করেন, “খাবারের উপর শুল্ক আরোপ করলে ভোক্তাদের খরচ বাড়বে।”

রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী রে ফ্লোরেস ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম ১০০ দিনের কার্যক্রমকে ১০ এর মধ্যে ৫ নম্বর দিয়েছেন। তিনি শুল্কের কারণে ভোক্তাদের মধ্যে জিনিসপত্র কেনাকাটার প্রবণতা কমে যাওয়া এবং অর্থনৈতিক মন্দা আসার আশঙ্কা করছেন।

ফ্লোরেস মনে করেন, সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আরও বেশি পরিকল্পনা ও সমন্বয় প্রয়োজন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এই ১০০ দিনের কার্যক্রম এখনো পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ভোটারদের মধ্যে দ্বিধা তৈরি করেছে। একদিকে যেমন কিছু নীতি তাদের সমর্থন আদায় করেছে, তেমনি অনেক সিদ্ধান্ত তাদের মধ্যে অসন্তুষ্টিও সৃষ্টি করেছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আগামী দিনগুলোতে প্রশাসনের নেওয়া পদক্ষেপগুলো দেশের অর্থনীতি এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার ওপর আরও গভীর প্রভাব ফেলবে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন