মেইন অঙ্গরাজ্যের একটি গোপন “সিস্টিন চ্যাপেল”, যেখানে রয়েছে ৭০ বছর পুরনো ফ্রেস্কো চিত্রকর্ম। আমেরিকার মেইনে অবস্থিত সাউথ সোলন মিটিং হাউসের অভ্যন্তরে ১৯৫০-এর দশকে আঁকা ফ্রেস্কোগুলো বর্তমানে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক দর্শকদের কাছে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করেছে।
এই চিত্রকর্মগুলি স্থানীয় শিল্পবোদ্ধাদের কাছে “মেইনের সিস্টিন চ্যাপেল” নামে পরিচিত। সম্প্রতি, কোলবি কলেজের কিছু শিক্ষার্থীর উদ্যোগে এই ফ্রেস্কো চিত্রকর্মগুলি নিয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে, যা এই শিল্পকর্মগুলোর প্রতি নতুন করে মানুষের আগ্রহ বাড়িয়েছে।
সাউথ সোলন মিটিং হাউস, যা একসময় স্থানীয় সম্প্রদায়ের সভা ও প্রার্থনাসভার স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হত, বর্তমানে তার অসাধারণ চিত্রকর্মের জন্য বিখ্যাত। ভেতরের বিশাল স্থানটিতে বিস্তৃত ফ্রেস্কোগুলি দর্শকদের বিশেষভাবে আকৃষ্ট করে।
এই চিত্রকর্মগুলো শুধু শৈল্পিক সৌন্দর্যই বহন করে না, বরং এটি একটি নির্দিষ্ট সময়ের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবিও বটে।
কোলবি কলেজের অধ্যাপক ভেরনিক প্লেস এই চিত্রকর্মগুলোর গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন। তাঁর মতে, এই ধরনের শিল্পকর্মগুলি সংরক্ষণ করা এবং সেগুলোর প্রচার করা অত্যন্ত জরুরি।
নতুন ওয়েবসাইট তৈরির ফলে, এই ঐতিহাসিক স্থানটি সম্পর্কে আরও বেশি মানুষ জানতে পারবে এবং এর প্রতি আকৃষ্ট হবে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, এই ধরনের ফ্রেস্কো চিত্রকর্ম হয়তো সরাসরি পরিচিত নয়, তবে আমাদের দেশেও বিভিন্ন স্থানে টেরাকোটা বা মাটির ফলকের উপর অঙ্কিত শিল্পকর্মের ঐতিহ্য রয়েছে, যা আমাদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ।
এই ধরনের শিল্পকর্মগুলি আমাদের অতীতকে বর্তমানের সাথে সংযোগ স্থাপন করে এবং আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখে। মেইনের এই মিটিং হাউসের ফ্রেস্কোগুলিও একইভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, যা আমাদের শিল্পকলার প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করে।
এই ওয়েবসাইট তৈরির ফলে, শুধু স্থানীয়রাই নয়, বরং সারা বিশ্ব থেকে মানুষজন এই অসাধারণ শিল্পকর্মগুলো সম্পর্কে জানতে পারবে। এটি প্রমাণ করে যে, শিল্প সবসময়ই সীমান্ত অতিক্রম করে এবং সংস্কৃতিকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পৌঁছে দেয়।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস