মার্কিন সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের ভুল করে এক ব্যক্তিকে বিতাড়িত করার সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন। বিতাড়িত হওয়া এই ব্যক্তি হলেন কিলমার অ্যাব্রেগো গার্সিয়া, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা।
সিনেটর ভ্যান হোলেন মনে করেন, এই ঘটনার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সকল নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার হুমকির মুখে পড়েছে।
সিনেটর ভ্যান হোলেন সম্প্রতি এল সালভাদরে গিয়ে অ্যাব্রেগো গার্সিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সিএনএন-এর সাথে আলাপকালে তিনি জানান, অ্যাব্রেগো গার্সিয়াকে ভুল করে বিতাড়িত করার কারণে তার ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকারকে অবজ্ঞা করা হচ্ছে।
সিনেটর ভ্যান হোলেন বলেন, “যদি আমরা একজন মানুষের সাংবিধানিক অধিকারকে অস্বীকার করি, তবে তা আমেরিকার প্রত্যেক নাগরিকের অধিকারের প্রতি হুমকি সৃষ্টি করে।
আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও অ্যাব্রেগো গার্সিয়াকে ফিরিয়ে আনতে ট্রাম্প প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন ভ্যান হোলেন। তিনি বলেন সুপ্রিম কোর্ট অ্যাব্রেগো গার্সিয়াকে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারকে ‘সুযোগ তৈরি করতে’ বললেও, প্রশাসন সে নির্দেশ মানছে না।
জানা গেছে, অ্যাব্রেগো গার্সিয়া এল সালভাদরের একটি কুখ্যাত কারাগারে ছিলেন। সিনেটর ভ্যান হোলেন জানান, সেখানকার পরিবেশ অ্যাব্রেগো গার্সিয়াকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলেছিল।
পরে তাকে অন্য একটি ডিটেনশন সেন্টারে সরিয়ে নেওয়া হয়, যেখানে পরিস্থিতি কিছুটা ভালো ছিল।
ট্রাম্প প্রশাসন অ্যাব্রেগো গার্সিয়াকে একটি সহিংস গ্যাং সদস্য হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা করছে। তাদের দাবি, অ্যাব্রেগো গার্সিয়া এমএস-১৩ গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত।
যদিও অ্যাব্রেগো গার্সিয়ার পরিবার ও আইনজীবীরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সিনেটর ভ্যান হোলেন বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন আদালতে অ্যাব্রেগো গার্সিয়ার গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ দাখিল করতে পারেনি।
তিনি আরও যোগ করেন, অ্যাব্রেগো গার্সিয়ার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো মূলত মূল বিষয় থেকে দৃষ্টি সরানোর চেষ্টা।
সিনেটর ভ্যান হোলেন মনে করেন, ট্রাম্প প্রশাসন আদালতের নির্দেশ অমান্য করছে এবং অ্যাব্রেগো গার্সিয়ার ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার থেকে তাকে বঞ্চিত করছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, কোনো ব্যক্তির অধিকারের জন্য লড়াই করতে পিছপা হওয়া উচিত নয়, কারণ এর মাধ্যমে সকলের অধিকার সুরক্ষিত হয়।
তথ্য সূত্র: সিএনএন