মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভেন্সের পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে সাক্ষাৎ, অভিবাসন নীতি নিয়ে ভিন্নমত সত্ত্বেও।
বিশ্বজুড়ে যখন বিভিন্ন দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছে, সেই সময়ে ভ্যাটিকানে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভেন্স। ইস্টার সানডে’র শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য এই সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়, যা আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
এই সাক্ষাতের মূল আকর্ষণ ছিল, অভিবাসন নীতি নিয়ে পোপ ফ্রান্সিস এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট ভেন্সের মধ্যে বিদ্যমান মতপার্থক্য। পোপ দীর্ঘদিন ধরেই অভিবাসন নীতি নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের সমালোচনা করে আসছেন।
তিনি মনে করেন, এই ধরনের নীতি মানবিক মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করে। অন্যদিকে, ভাইস প্রেসিডেন্ট ভেন্স অতীতে ক্যাথলিক মতবাদের আলোকে অভিবাসন নীতি সমর্থন করেছেন।
সাক্ষাৎকালে পোপ ফ্রান্সিস ভাইস প্রেসিডেন্ট ভেন্সকে ইস্টার উপলক্ষে তিনটি চকোলেট ডিম, একটি ভ্যাটিকান টাই এবং কিছু রোজারি উপহার দেন। এই উপহারগুলো ছিল ভাইস প্রেসিডেন্টের তিনটি সন্তানের জন্য।
এছাড়াও, পোপের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন ভাইস প্রেসিডেন্ট।
বৈঠকে আন্তর্জাতিক সংঘাত, শরণার্থী সমস্যা এবং অভিবাসন বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। ভ্যাটিকান জানিয়েছে, এই সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে, দরিদ্র ও অসহায় মানুষের প্রতি ক্যাথলিক চার্চের সেবার বিষয়টিকেও স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
সাক্ষাতের আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট ভেন্স ভ্যাটিকানের সেক্রেটারি অফ স্টেট কার্ডিনাল পিয়েত্রো পারোলিন এবং আর্চবিশপ পল গ্যালাঘেরের সঙ্গেও বৈঠক করেন। সেখানে তাঁরা ধর্মীয় বিশ্বাস, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাথলিক সম্প্রদায় এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নিপীড়িত খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।
পোপ ফ্রান্সিস ইস্টার সানডে’র ভাষণে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তাঁরা যেন সংকটে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়ান এবং শান্তির জন্য কাজ করেন।
তিনি বলেন ভয়ের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে, দুর্বলদের সহায়তার জন্য এবং উন্নয়নমূলক কর্মসূচিগুলোকে উৎসাহিত করতে হবে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান