অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ, ইন্দোনেশিয়ায় রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের গুঞ্জনের মধ্যে, রাশিয়ার বক্তব্যকে ‘প্রোপাগান্ডা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়, রাশিয়া ইন্দোনেশিয়ার কাছে তাদের সামরিক বিমান ঘাঁটি তৈরির অনুমতি চেয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, রুশ রাষ্ট্রদূত সের্গেই তোলচেনভ এক চিঠিতে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইন্দোনেশিয়ার সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করার কোনো অধিকার অস্ট্রেলিয়ার নেই।
তোলচেনভের এই বক্তব্যকে উড়িয়ে দিয়ে আলবানিজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি রাশিয়া বিরোধী এবং রাশিয়ার কর্তৃত্ববাদী শাসনের সমালোচনা করেন।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার প্রোপাগান্ডা প্রচারে সহায়তা করার কোনো ইচ্ছা তাঁর নেই। অস্ট্রেলিয়ার বিরোধী দল এই ইস্যুতে সরকারের সমালোচনা করে বলেছে, সরকার বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
তারা সরকারের কাছে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলেও, সরকার তাতে সাড়া দেয়নি।
ইন্দোনেশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা কোনো দেশকে তাদের ভূখণ্ডে সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের অনুমতি দেয়নি।
তবে, দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট প্রাবোSubianto Subianto, রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করেছেন। তিনি ব্রিকস জোটে যোগ দিয়েছেন এবং রাশিয়ার সঙ্গে নৌ-মহড়া করেছেন।
গত জুলাই মাসে তিনি মস্কো সফর করেন এবং আগামী জুনে পুনরায় রাশিয়া যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, ইন্দোনেশিয়ার এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের ইঙ্গিত দেয়।
বিশেষ করে, রাশিয়া ও চীনের প্রভাব বিস্তারের প্রেক্ষাপটে, ছোট দেশগুলোর সার্বভৌমত্ব রক্ষার বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই ঘটনাপ্রবাহে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য নিজেদের পররাষ্ট্রনীতি এবং জোট নিরপেক্ষতা বজায় রাখা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান