চীনের বাজারে শুল্কের কোপে ফেরত গেল বোয়িং বিমান।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে চীনের একটি এয়ারলাইন্সের জন্য প্রস্তুত করা বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমান যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সম্প্রতি দুই দেশই একে অপরের পণ্যের ওপর শুল্কের বোঝা বাড়িয়েছে, যার ফলস্বরূপ এই বিমান প্রত্যাবর্তনের ঘটনা ঘটেছে।
খবর প্রকাশ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম।
জানা গেছে, বিমানটি চীনের জিয়ামেন এয়ারলাইন্সের জন্য তৈরি করা হয়েছিল এবং এটি চূড়ান্ত কার্যক্রমের জন্য চীনের ঝৌশান কমপ্লিশন সেন্টারে অপেক্ষমান ছিল। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক নীতির কারণে বিমানটি আর চীনে প্রবেশ করতে পারেনি।
বিমানের বাজার মূল্য প্রায় ৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার সম্প্রতি চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, যার জবাবে চীনও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে, বোয়িং থেকে বিমান কেনা চীনের এয়ারলাইন্সগুলোর জন্য বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ, শুল্কের কারণে তাদের খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, চীন আগামী দুই দশকে বিশ্বের বিমান চাহিদার প্রায় ২০ শতাংশ পূরণ করবে।
এমন পরিস্থিতিতে, বোয়িংয়ের জন্য চীনের বাজার হারানো একটি বড় ধাক্কা।
মার্চ মাসের শেষ পর্যন্ত, চীনের বিভিন্ন এয়ারলাইন্স এবং লিজ কোম্পানিগুলোর কাছে বোয়িংয়ের ১৩০টি বিমান সরবরাহ করার কথা ছিল।
বোয়িং কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা পরিস্থিতি বিবেচনা করছে এবং বাজারের ওপর শুল্কের প্রভাব এড়াতে চাইছে।
তারা আরও উল্লেখ করেছে, তাদের অর্ডারের প্রায় অর্ধেকই বিদেশি বাজারের জন্য।
এদিকে, ইউরোপীয় বাজেট এয়ারলাইন্স, রায়ানএয়ারও তাদের বোয়িং বিমানের ডেলিভারি পিছিয়ে দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে।
এই ঘটনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব যে শুধু দুই দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে না, বরং বিশ্ব অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে এর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, তা স্পষ্ট।
বিশেষ করে বিমান চলাচল শিল্পে এর গুরুতর প্রভাব পড়তে পারে, যা বিভিন্ন দেশের এয়ারলাইন্সগুলোর জন্য উদ্বেগের কারণ।
তথ্য সূত্র: বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম।