যুক্তরাষ্ট্রের ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু হয়ে গেছে। ডেমোক্র্যাটরা যেখানে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে মাঠে নামতে শুরু করেছে, সেখানে রিপাবলিকানরা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।
খবর সিএনএন-এর।
আগামী নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ইতোমধ্যে অনেকে নাম লিখিয়েছেন। প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী এবং ২০২০ সালের আইওয়া ককাসের বিজয়ী পেটে বুটিগিয়েগ বিভিন্ন রাজ্যে সভা-সমাবেশ করছেন। এছাড়া, ২০২৪ সালের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী, মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজ এবং মেরিল্যান্ডের গভর্নর ওয়েস মুরও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন।
বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছেন, ডেমোক্রেটদের মধ্যে নেতৃত্বের শূন্যতা তৈরি হয়েছে, যা পূরণের জন্য অনেকেই এখন থেকেই চেষ্টা শুরু করেছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ডেমোক্র্যাটরা চান, কিভাবে তারা আগের নির্বাচনে পরাজয় থেকে শিক্ষা নিয়ে ট্রাম্পের দল রিপাবলিকানকে হারাতে পারে, সেই বিষয়ে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিতে।
অন্যদিকে, রিপাবলিকান পার্টিতে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। তারা মনে করছেন, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতে তার কোনো কাজে বাধা দেওয়া ঠিক হবে না।
অনেকেই ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন। যদিও ট্রাম্প এখনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়ে সরাসরি কিছু জানাননি, তবে তার সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভেন্স এবং প্রাক্তন সেক্রেটারি অফ স্টেট মার্কো রুবিওর নাম শোনা যাচ্ছে।
রিপাবলিকান দলের অনেক নেতাই মনে করছেন, ট্রাম্পের সমর্থন পেলে তাদের জন্য সুবিধা হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ডেমোক্র্যাটদের এই তৎপরতা প্রমাণ করে যে দলটিতে নেতৃত্বের জন্য তীব্র আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে দলের নেতারা সভা-সমাবেশ করছেন এবং তাদের নীতি ও আদর্শ জনগণের সামনে তুলে ধরছেন।
এর মাধ্যমে তারা ভোটারদের মন জয় করতে চাইছেন।
অন্যদিকে, রিপাবলিকানদের মধ্যে অপেক্ষার এই নীতি তাদের কৌশলগত দিক থেকে কিছুটা ভিন্নতা এনেছে। তারা ট্রাম্পের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এবং তার দল কেমন করে নির্বাচনে জয়ী হতে পারে, সেদিকে নজর রাখছে।
রিপাবলিকানরা মনে করছে, এখনই কোনো পদক্ষেপ নিলে তা ট্রাম্পের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই দুই দলের ভিন্ন কৌশল ২০২৮ সালের নির্বাচনে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। ডেমোক্র্যাটদের সক্রিয়তা এবং রিপাবলিকানদের কৌশল উভয়ই নির্বাচনের ফলাফলের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন