মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তারা টেক্সাসে আটক প্রায় ২০০ ভেনেজুয়েলার অভিবাসীকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর অনুমতি চাইছে।
সোমবার এই আবেদন জানানো হয়েছে। খবরটি জানিয়েছে সিএনএন।
আবেদনে বলা হয়েছে, আটককৃতদের মধ্যে অনেকে ত্রেন দে আরাগুয়া নামের একটি ভেনেজুয়েলার গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত। এই গ্যাংটিকে যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
প্রশাসনের মতে, এই অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিশেষভাবে বিপজ্জনক।
আবেদনে সলিসিটর জেনারেল জন সয়ার উল্লেখ করেছেন, ব্লুবােনেট ডিটেনশন ফ্যাসিলিটিতে আটক হওয়া ১৭৬ জন অভিবাসীর মধ্যে কয়েকজন কয়েক ঘণ্টা ধরে একটি কক্ষে নিজেদের বন্দী করে রেখেছিল।
তারা সেখানকার কর্মকর্তাদের জিম্মি করার এবং তাদের ক্ষতি করার হুমকিও দেয়।
আবেদন অনুযায়ী, টেক্সাসের আনসনের ব্লুবােনেট ডিটেনশন ফ্যাসিলিটিতে এই ঘটনা ঘটেছিল। সেখানকার একটি ড্রোন ক্যামেরায় বন্দীদের ‘এসওএস’ বার্তা দিতেও দেখা গেছে।
ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের টেক্সাসের অন্য একটি ডিটেনশন সেন্টারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
জন সয়ার আরও লিখেছেন, “এ ধরনের বন্দীদের অন্য কোনো ডিটেনশন সেন্টারে স্থানান্তর করার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ত্রেন দে আরাগুয়ার গ্যাং কার্যক্রম আরও বাড়তে পারে।”
তাই দ্রুত তাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করা উচিত।
এর আগে, সুপ্রিম কোর্ট এক আদেশে দ্রুত বিতাড়ন প্রক্রিয়া স্থগিত করার নির্দেশ দেয়।
এর কারণ হিসেবে ‘এলিয়েন এনিমিজ অ্যাক্ট’-এর ব্যবহারের বিরোধিতা করা হয়।
এই আইনের অধীনে অভিবাসীদের বিতাড়ন করার ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এই আইনের অধীনে যাদের বিতাড়ন করা হয়েছে, তারা ত্রেন দে আরাগুয়ার সদস্য।
যদিও তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সুস্পষ্ট প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।
সরকার পক্ষের আইনজীবীরা গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ হিসেবে অভিবাসীদের শরীরে উল্কি এবং তাদের পোশাকের কথা উল্লেখ করেছেন।
তবে, নিম্ন আদালতের একাধিক বিচারকও এই আইনের অধীনে বিতাড়ন প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন