মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিভাগে সম্প্রতি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এসেছে। ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স কাউন্সিলের (National Intelligence Council – NIC) শীর্ষ দুই কর্মকর্তাকে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালক (Director of National Intelligence – DNI) তুলসি গ্যাবার্ড। এই ঘটনার জেরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিষয়ক নীতি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ার মাইক কলিন্স এবং ডেপুটি মারিয়া ল্যাঙ্গান-রিখফ। ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স কাউন্সিল (NIC) হলো যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা দেশের জন্য সম্ভাব্য হুমকিগুলো মূল্যায়ন করে থাকে।
কর্মকর্তাদের অপসারণের কারণ হিসেবে তুলসি গ্যাবার্ড জানিয়েছেন, তিনি গোয়েন্দা সংস্থায় রাজনৈতিক প্রভাব দূর করতে এবং গণমাধ্যমে তথ্য ফাঁসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চান।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গ্যাবার্ডের এই পদক্ষেপের ফলে গুরুত্বপূর্ণ কিছু অভিজ্ঞ ব্যক্তির কর্মদক্ষতা হ্রাস পেতে পারে। সাবেক এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জোনাথন প্যানিকফ এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, মাইক কলিন্স দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন এবং চীন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ হিসেবে তাঁর খ্যাতি রয়েছে।
অন্যদিকে, মারিয়া ল্যাঙ্গান-রিখফ একজন অসাধারণ বিশ্লেষক ও কৌশলবিদ।
অন্যদিকে, গ্যাবার্ডের নেতৃত্বাধীন অফিস অফ দ্য ডিরেক্টর অফ ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স (ODNI) সম্প্রতি ভেনেজুয়েলার একটি গ্যাং, ‘ট्रेन দে আরাগুয়া’ সম্পর্কে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে। এই মূল্যায়নে দেখা যায়, গ্যাংটির বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের নেওয়া পদক্ষেপের সঙ্গে তথ্যের অমিল রয়েছে।
এই ঘটনার পরেই মিডিয়ায় খবর ফাঁসের অভিযোগে গ্যাবার্ড বেশ কিছু অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছেন। এছাড়া, গণমাধ্যমে তথ্য প্রকাশ করার দায়ে জড়িত সন্দেহে তিনজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
তুলসি গ্যাবার্ডের মতে, যারা এ ধরনের তথ্য ফাঁস করেন, তারা আসলে গণতন্ত্রকে দুর্বল করছেন। কারণ, তাঁরা এমন কাজ করছেন যা নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তকে খাটো করে দেখায়।
গ্যাবার্ড জানিয়েছেন, এসব ঘটনার সঠিক তদন্তের মাধ্যমেই জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব। এই ঘটনার পর, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কর্মপরিবেশে পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, যা ভবিষ্যতে দেশটির নিরাপত্তা বিষয়ক নীতিকে প্রভাবিত করতে পারে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন