যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি নিয়ে আমেরিকানদের মনে এখনো হতাশা: সমীক্ষায় প্রকাশ।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের মধ্যে তাদের দেশের অর্থনীতি নিয়ে আশা ক্রমেই কমছে। মে মাসে ভোক্তাদের মধ্যে অর্থনৈতিক আস্থা সূচক প্রায় রেকর্ড পরিমাণে কমে এসেছে। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের করা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভোক্তা আস্থা সূচক (consumer sentiment index) -এর প্রাথমিক হিসাবে দেখা গেছে, মে মাসে এই সূচকটি ২.৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫০.৮-এ।
এপ্রিল মাসে এই সূচকের পরিমাণ ছিল ৫২.২। অর্থনীতিবিদরা ধারণা করেছিলেন, মে মাসে পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হতে পারে।
ফ্যাক্টসেট-এর হিসাব অনুযায়ী, সূচকটি ৫৫-এর কাছাকাছি থাকতে পারে বলে তারা মনে করেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, সেই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
আগের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেওয়া কিছু বাণিজ্য নীতি এবং শুল্কের কারণে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এর ফলেই মূলত ভোক্তাদের মধ্যে এই ধরনের হতাশাজনক মনোভাব তৈরি হয়েছে।
যদিও মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে শুল্ক কমানোর বিষয়ে একটি অপ্রত্যাশিত আলোচনা হয়েছে, যা উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ককে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করতে পারে। তবে, এই খবরটি প্রকাশিত হওয়ার সময় পর্যন্ত সমীক্ষার ফলাফল এসে যাওয়ায়, এর প্রভাব সম্ভবত ততটা অনুভূত হয়নি।
ভোক্তা আস্থা সূচক হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক নির্দেশক, যা একটি দেশের নাগরিকদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা দেয়। এই সূচক মানুষের ক্রয়ক্ষমতা, বিনিয়োগের প্রবণতা এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা দিতে সহায়তা করে।
এই সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা সাধারণত ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের ইঙ্গিত দেয়।
এই মুহূর্তে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির এই দুর্বল চিত্র বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি উদ্বেগের কারণ হতে পারে। এর কারণ, বিশ্ব বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
তাদের অর্থনীতির খারাপ প্রভাব আন্তর্জাতিক বাজারেও পড়তে পারে, যার ফলস্বরূপ অনেক দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে, ভবিষ্যতের জন্য এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে পারে, যা নির্ভর করবে বিভিন্ন দেশের সরকারের নীতি এবং বিশ্ব অর্থনীতির গতি প্রকৃতির ওপর।
তথ্য সূত্র: সিএনএন