যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ মিনিয়াপলিস ও লুইসভিলের পুলিশ সংস্কার সংক্রান্ত চুক্তি বাতিল করতে চাইছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ জর্জ ফ্লয়েড ও ব্রিয়ানা টেইলরের মৃত্যুর পর দেশজুড়ে বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভের জেরে মিনিয়াপলিস ও লুইসভিলের সঙ্গে হওয়া পুলিশ সংস্কার সংক্রান্ত চুক্তি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপের ফলে দেশটিতে পুলিশি ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে বাইডেন প্রশাসনের নেওয়া পদক্ষেপের বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে।
২০২০ সালের গ্রীষ্মকালে জর্জ ফ্লয়েড এবং ব্রিয়ানা টেইলরের মৃত্যুর পর দেশজুড়ে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল। এই ঘটনার জেরেminneapolis ও louisville শহরে পুলিশ বিভাগের সংস্কারের জন্য চুক্তি হয়েছিল। বাইডেন প্রশাসন এই চুক্তিগুলোর মাধ্যমে ফেডারেল তত্ত্বাবধানে পুলিশ বাহিনীর সংস্কারের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর এই চুক্তির বিরোধিতা করছে।
বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, স্থানীয় পর্যায়ে পুলিশিং সংক্রান্ত বিষয়গুলো স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে থাকা উচিত। তারা মনে করেন, ফেডারেল সরকারের এত বেশি নিয়ন্ত্রণ কাম্য নয়।
২০২৩ সালে বিচার বিভাগের এক প্রতিবেদনে মিনিয়াপলিস পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে, মিনিয়াপলিসের প্রশাসন ফেডারেল সরকারের সঙ্গে একটি সংস্কার চুক্তিতে রাজি হয়েছিল। এই চুক্তির অধীনে আদালত কর্তৃক তত্ত্বাবধানে পুলিশ বিভাগের প্রশিক্ষণ এবং শক্তি ব্যবহারের নীতি পরিবর্তনের কথা ছিল। তবে ট্রাম্প প্রশাসন এই চুক্তির কার্যক্রম স্থগিত করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেছে।
বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা মনে করে না এই চুক্তি জনস্বার্থের অনুকূলে হবে। তাই তারা এই মামলাটি আর পরিচালনা করতে চায় না।
অন্যদিকে, মিনিয়াপলিস শহরের পুলিশ প্রধান ব্রায়ান ও’হারা জানিয়েছেন, ফেডারেল সরকারের সিদ্ধান্ত যা-ই হোক না কেন, তারা রাজ্যের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী কাজ চালিয়ে যাবেন। মিনেসোটা হিউম্যান রাইটস বিভাগ পুলিশের বিরুদ্ধে বর্ণ বৈষম্যের অভিযোগ এনেছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে শহরের কর্তৃপক্ষ রাজ্যের সঙ্গে একটি সংস্কার চুক্তিতে উপনীত হয়।
লুইসভিল শহরেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ব্রিয়ানা টেইলরকে হত্যার ঘটনার পর সেখানকার পুলিশ বিভাগের সংস্কারের জন্য বিচার বিভাগের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছিল। এই চুক্তির মাধ্যমে পুলিশের আচরণবিধি পরিবর্তন এবং সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্য দূর করার কথা ছিল। লুইসভিলের মেয়র ক্রেইগ গ্রিনবার্গ জানিয়েছেন, তারা পুলিশ সংস্কারের ব্যাপারে এখনো অঙ্গীকারবদ্ধ।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস