সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের বিভীষিকা: সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নৃশংস অত্যাচারের অভিযোগ
সিরিয়ায়, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকে দেশটিতে সহিংসতা বেড়ে চলেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা যায়, সরকারি অনুগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বেসামরিক নাগরিকদের উপর নির্বিচারে গণহত্যা চালাচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এসব হামলায় ‘দেশকে শুদ্ধ করার’ কথা বলা হচ্ছে।
সংবাদ সংস্থাগুলোর ভাষ্যমতে, গত কয়েকদিনে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে। এর ফলস্বরূপ, সরকারি বাহিনীর হাতে ব্যাপকহারে তরুণ এবং বয়স্ক পুরুষদের হত্যার ঘটনা ঘটেছে। একটি মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, সহিংসতায় ইতিমধ্যে ৬০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে বহু সংখ্যক বেসামরিক নাগরিকও রয়েছেন।
দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট পরিস্থিতিকে ‘প্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জ’ হিসেবে বর্ণনা করে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি ঘটনার তদন্তের জন্য একটি স্বাধীন কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সরকারি বাহিনীর সদস্যরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালাচ্ছে। আতঙ্কে অনেক পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছে। নিহতদের মধ্যে বয়স্ক নারী-পুরুষও রয়েছেন।
সিরিয়ার আল-আলাউয়ি সম্প্রদায়ের সদস্যরা একসময় বাশার আল-আসাদের শাসনের প্রতি অনুগত ছিলেন। বিদ্রোহীদের সঙ্গে তাদের পুরনো বিরোধ ছিল। বিদ্রোহীদের অভিযোগ, সরকারি বাহিনী তাদের উপর প্রতিশোধ নিচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আসা বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, সশস্ত্র ব্যক্তিরা শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং সেখানে গণহত্যার হুমকি দিচ্ছে। এসব ভিডিওতে নৃশংস হত্যাকাণ্ড এবং সহিংসতার চিত্র উঠে এসেছে, যা আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
নতুন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর এই ধরনের সহিংসতা তাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, তারা সন্ত্রাসবাদ থেকে দূরে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা এবং শান্তি ফিরিয়ে আনা জরুরি।
তথ্য সূত্র: আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা।