বসন্তের আগমনী বার্তা নিয়ে ভারতজুড়ে উদযাপিত হলো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের হোলি উৎসব।
১৪ই মার্চ শুক্রবার (এবং কিছু অঞ্চলে তার আগে) এই উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠেন সকলে, যেখানে ছিল নানা রঙের ছড়াছড়ি, উৎসবের গান, নাচ, এবং মুখরোচক খাবারের আদান-প্রদান।
হোলি উৎসব মূলত রং খেলার উৎসব হিসেবে পরিচিত, যা ভারত, নেপাল ও দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ জনপ্রিয়। এই উৎসব হিন্দু দেবতা কৃষ্ণ ও রাধার পবিত্র ভালোবাসার প্রতীক, যা নতুন জীবন ও পুনর্জন্মের বার্তা বহন করে।
হোলির দিনে সকলে একে অপরের গালে রং মাখিয়ে দেন, যা আনন্দ ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। লাল, সবুজ, নীল, হলুদ ও গোলাপীসহ নানা রঙের আবির ছড়িয়ে পরে চারদিকে, যা উৎসবের আমেজ আরও বাড়িয়ে তোলে। এই দিনে পুরনো সকল দুঃখ-কষ্ট ভুলে গিয়ে নতুন করে জীবন শুরু করারও অনুপ্রেরণা যোগায়।
এবছর, মুম্বাই, চেন্নাই, আহমেদাবাদ, প্রয়াগরাজ, জম্মু, এবং কাঠমান্ডুর মত শহরগুলোতে হোলি উৎসবের নানা দৃশ্য দেখা গেছে।
কোথাও দেখা যায়, রং খেলার আনন্দে মেতে উঠেছে সবাই, আবার কোথাও মন্দিরগুলোতে বিশেষ পূজা-অর্চনার আয়োজন করা হয়েছে। অনেক জায়গায় ‘হোলি কা দাহান’ নামে পরিচিত একটি বিশেষ অগ্নিপূজা অনুষ্ঠিত হয়, যা অশুভ শক্তির বিনাশের প্রতীক।
হোলি উৎসব শুধু একটি আনন্দ-উৎসবই নয়, এটি মানুষের মধ্যেকার সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে তোলে।
বন্ধু, আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা একত্রিত হয়ে এই উৎসবে যোগ দেন, যা সামাজিক বন্ধন আরও সুদৃঢ় করে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস