খেলা শেষের উত্তেজনা! দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতল ভারত।
শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে রোহিত শর্মার আক্রমণাত্মক ৭৬ রান এবং কে এল রাহুলের দৃঢ়তাপূর্ণ ৩৪ রানের সুবাদে এই জয় আসে।
এটি ভারতের তৃতীয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়।
রবিবার দুবাইয়ের মাঠে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড।
ড্যারিল মিচেল ও মাইকেল ব্রেসওয়েলের অর্ধশতকের ওপর ভর করে তারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে।
ভারতের হয়ে বোলাররা ভালো পারফর্ম করেন, তবে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করেন ভারতের দুই ওপেনার।
রোহিত শর্মা দ্রুত রান তুলতে থাকেন, ৭টি চার এবং ৩টি ছক্কা হাঁকিয়ে তিনি ৭৬ রান করেন।
এরপর হার্দিক পান্ডিয়ার ১৮ রান এবং কে এল রাহুলের দায়িত্বশীল ব্যাটিং ভারতকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যায়।
রাহুলের অপরাজিত ৩৪ রান ছিল দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এই জয়ে ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন পালক যুক্ত হলো।
গত কয়েক বছরে ভারতের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স অব্যাহত রয়েছে।
তারা সবশেষ তিনটি আইসিসি ইভেন্টের মধ্যে ২৩টি ম্যাচে জয়লাভ করেছে, যেখানে একমাত্র হারটি ছিল ২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে।
এর আগে গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে ভারতের এটি তৃতীয় শিরোপা।
এর আগে তারা ২০১৩ সালেও এই ট্রফি জিতেছিল।
এছাড়া, ২০০২ সালে বৃষ্টির কারণে ফাইনাল ভেস্তে যাওয়ায় শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যুগ্মভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত।
নিউজিল্যান্ড একবার এই ট্রফি জিতেছে, সেটি ২০০০ সালে, ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে।
টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই দুর্দান্ত ফর্মে ছিল ভারত।
গ্রুপ পর্বে তারা বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছিল।
সেমিফাইনালে তারা অস্ট্রেলিয়াকে পরাজিত করে ফাইনালে ওঠে।
অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ডও সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে।
নিরাপত্তা জনিত কারণে ভারত সরকার তাদের দলকে পাকিস্তানে খেলতে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি, যে কারণে ভারতের সব ম্যাচ দুবাইতে অনুষ্ঠিত হয়।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা