মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়, দাবানল ও ধূলিঝড়ে অন্তত ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশটির মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানা এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঘরবাড়ি, স্কুল এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যের গভর্নররা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।
শুক্রবার রাতের ভয়াবহ ঝড়ে মিসৌরির ওয়েন কাউন্টিতে পাঁচটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঝড়ের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে বাড়িঘর। মিসৌরিতে ঘূর্ণিঝড়ে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রতিবেশী বাটলার কাউন্টির এক কর্মকর্তা বিধ্বস্ত ঘরবাড়ির বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, সেখানে সবকিছু ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, এমনকি মেঝে উল্টে গিয়েছিল।
মিসিসিপি রাজ্যে ঘূর্ণিঝড়ে ৬ জন এবং আরকানসাসে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া, জর্জিয়া রাজ্যেও জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
ওকলাহোমা রাজ্যে ১৩০টির বেশি স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এবং প্রায় ৩০০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রাজ্যের গভর্নর কেভিন স্টিট জানিয়েছেন, ২৬৬ বর্গ মাইল এলাকার বেশি জায়গা আগুনে পুড়ে গেছে।
অন্যদিকে, কানসাসের একটি মহাসড়কে ভয়াবহ ধূলিঝড়ের কারণে ৫০টির বেশি গাড়ির সংঘর্ষে অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন।
টেক্সাসের অ্যামারিলোতেও একই ধরনের ঘটনায় তিনজন মারা গেছেন।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ১ কোটির বেশি মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করেছে।
উত্তরাঞ্চলে তুষারঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে, যেখানে ভারী তুষারপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়ার চরম রূপ মার্চ মাসে দেখা যাওয়াটা অস্বাভাবিক নয় বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকাগুলো হলো – লুইজিয়ানা ও মিসিসিপি থেকে শুরু করে আলাবামা, পশ্চিম জর্জিয়া এবং ফ্লোরিডার কিছু অংশ।
প্যারাডাইজ র্যাঞ্চ আরভি পার্কের কাছে একটি বিশাল ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার দৃশ্য দেখেছেন স্থানীয় বাসিন্দা বেেইলি ডিলন ও তার স্বামী।
ঝড়ের পরে তারা সেখানে গিয়ে ধ্বংসস্তূপের ছবি তোলেন।
ডিলন জানান, সেখানে ঘরবাড়ি, স্কুল এবং অন্যান্য ভবনগুলো সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানা এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সেখানকার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস